বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতে পিরোজপুরের কাউখালীর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনলাইনের মাধ্যমে ‘ঘরে বসে শিখি’ এর অংশ হিসাবে ক্লাস চালু করেছে। আর এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত ১৫ জুন থেকে নিজ উদ্যোগে অনলাইন ক্লাস শুরু করেন। এর পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে বসে অনলাইনে ক্লাস নেন। এতে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে উৎসাহী হওয়ায় উত্তর নিলতী সমতট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, সরকারি কাউখালী মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক রবিন মুখ্যার্জি, বিথীকা কর্মকার, কাউখালী মহিলা কলেজের প্রভাষক জগদীশ চন্দ্র কুন্ডু, কুমকুম ভট্টাচার্য্যসহ কিছু শিক্ষক নিজ উদ্যোগে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। এর পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করেছেন।
কাউখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘরে বসে শিখি এর অংশ হিসেবে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে লেখাপড়ার জন্য পাঠ্যসূচি তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অডিও ও ভিডিও কলের মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পড়া বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।
উত্তর নিলতী সমতট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে বাড়িতে বসে সময় নষ্ট না করে এ জন্য নিজ উদ্যোগে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেছি। আশা করি এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য অনেকটা সহায়ক হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী রাখার জন্য অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা প্রতিদিন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে বসে অনলাইনে পাঠদান করাচ্ছেন।