অনলাইনে গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, অনলাইনে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারলে উচ্চশিক্ষার কাঙ্খিত লক্ষ্য ও জাতীয় দাবি পূরণ হবে না।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) করোনার সময়ে আইকিউএসির ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় ১৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ আরও বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে পাঠদান এখন একটি বাস্তবতা। শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও ডিভাইস সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি অনলাইনে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে মনোযোগ দিতে হবে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলে শিক্ষায় সরাসরি ও নিয়মিত পাঠদানে ফিরে গেলেও অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব কোন অংশে কমবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরাসরি পাঠদানের পাশাপাশি অনলাইনে কোর্স চালু রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরবর্তী অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আইকিউএসি’র দায়িত্ব হবে অনলাইন এডুকেশনের ওপর একটি নীতিমালা তৈরি করা, যাতে এর মান নিশ্চিত করা যায়। এসময় তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার সাথে যুক্তদেরকে অনলাইন শিক্ষায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠার পরামর্শ দেন। শিক্ষক সম্প্রদায়কে বিদ্যমান রিসোর্স ব্যবহার করে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। মহামারীকালীন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তিনি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান। দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি গণমাধ্যমের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান জানান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নামমাত্র মূল্যে টেলিটকের ইন্টারনেট সেবা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। টেলিটকের নেটওয়ার্কের সমস্যা কথা অনেকেই জানিয়েছে। আশা করি, অচিরেই নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান ও বিভাগীয় প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসির এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।
সভাপতির ভাষণে প্রফেসর আলমগীর বলেন, করোনা সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ক্ষতি পোষাতে অনলাইনে পাঠদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। করোনার শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পরেনি। এক্ষেত্রে আইকিউএসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে তিনি জানান।