অনশন কর্মসূচি বাদ দিয়ে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত ১২ জন শিক্ষক নেতা প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাত করতে গেলে প্রতিমন্ত্রী তাদেরকে এমন পরামর্শ দেন। নেতারা সবাই তারা সবাই লিয়াজোঁ ফোরামের। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে আধাঘন্টাব্যাপি সাক্ষাত শেষে প্রতিমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে দৈনিকশিক্ষাকে এ তথ্য জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, প্রতিমন্ত্রী আবারও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। গতকাল বুধবার সংসদ অধিবেশন থাকায় কথা বলতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী। তিনি আজ কথা বলবেন।’
এর আগেও শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কয়েক দফা বৈঠক করেন। বৈঠকগুলোতে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন শিক্ষকরা।
তিনি বলেন, ‘ দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে ১০ই জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।
বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তার পাশে পাটি বিছিয়ে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে বসে আমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন তারা। এসব শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠন জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম’ এর ব্যানারে এ আন্দোলনের পরিচালিত হচ্ছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যদূরীকরণে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সারা দেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তারা বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা সেসব প্রতিষ্ঠান চালালেও নামে মাত্র বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তা দিয়েই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অথচ ৩ শতাংশ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উচ্চমানের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এ কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। এ দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি।