দেশের স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আজ মঙ্গলবার ৩ (জুলাই) নবম দিনে আমরণ অনশনরত আরও ১৭ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন।
এ নিয়ে ৯ দিনে অসুস্থ হয়েছেন মোট ১৫৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী। এর মধ্যে ৮০ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার উত্তর পাশে এই কর্মসূচি চলছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় বলেন, তাঁরা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর যে প্রস্তাব তাঁরা দিয়েছেন, সেটা যদি প্রধানমন্ত্রী দেখেন, তাহলে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে তাঁরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি এভাবেই চলবে বলে জানান তিনি।
অনশনস্থলে উপস্থিত হয়ে লেখক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ সাংবাদিকদের বলেন, এভাবে শিক্ষকদের, বিশেষ করে নারী শিক্ষকদের রাস্তায় অবস্থান করাটা বিব্রতকর। আলোচনা করে সরকার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিলে শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন।
এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ১০ জুন থেকে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকার থেকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ২৫ জুন থেকে তাঁরা আমরণ অনশন করছেন।
বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে আছে ২ হাজারেরও বেশি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রমতে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করলে মাসে আরও প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচ হবে। যদিও সরকারের পরিকল্পনা হলো হাজারখানেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।