প্রায় ২৭ বছর ধরে বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। তারা নাকি জনবল কাঠামোর বাইরে! কাঠামোতে না থাকার দোহাই দিয়েই ওপর মহলের কর্মকর্তারা তাদের এমপিও দিচ্ছে না। একই কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষকরা যদি এমপিও পায়, তাহলে তারা পেতে অসুবিধা কোথায়? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষকরা এমপিও পাচ্ছেন, কিন্তু অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিও পাচ্ছেন না। তারা কলেজের সর্বোচ্চ শ্রেণির শিক্ষক হয়েও সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। নিজ নিজ কলেজের ডিগ্রি ও একাদশ শ্রেণির এমপিওভুক্ত শিক্ষক এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেও তাদের মূল্যায়ন নেই।
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষায় দেখতে পেলাম এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটি হয়েছে। এই কমিটির কাছে আমাদের আবেদন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বৈত প্রশাসন মুক্ত করার জন্য নতুন বিধান করবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিষয় অনুমোদন আর নিয়োগ বোর্ডে তাদের প্রতিনিধি মনোনয়ন দিয়েই খালাস! বছরের পর বছর এমপিওবিহীন থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে ঘুরতে জুতা ক্ষয় করে সবশেষে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আমরা এটা আর চাই না। আমরা সবাই ক্লান্ত, আশাহত।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বিনীত নিবেদন, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা যাতে জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে এমপিও পেতে পারে তার সুব্যবস্থা দানে যেন মর্জি হন।
রতন কুমার জয়ধর : প্রভাষক, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, কালকিনি, মাদারীপুর।