২০১৯-২০ অর্থবছরেই অর্থ বরাদ্দ চায় বেসরকারি কলেজের অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষকরা। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নিয়োজিত এসব শিক্ষক বেসরকারি কলেজগুলোতে এক কথায় বিনা পারিশ্রমিকে এ শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। সারা বাংলাদেশে ২০৩টি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
এই সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক ও তার পরিবার খেয়ে না খেয়ে খুব মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব শিক্ষকের কোন জনবল কাঠামো এবং অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তারা এমপিওভুক্তি হতে পারছি না। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব নিয়ম মেনে এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ডিজির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাতে পাস করে তারা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আজ এমপিওভুক্ত শিক্ষক। অথচ এই অনার্স ও মাস্টার্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ২৭ বছর যাবত এমপিও বঞ্চিত।
এই অর্থ বছরে শিক্ষাখাতে মোট ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। যা কিনা গত বছরের তুলনায় আট হাজার চৌষট্টি কোটি টাকা বেশি। তাই সরকারের একটু সদিচ্ছাই পারে এই শিক্ষকদের মুক্তি দিতে। সাড়ে তিন হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি করতে বছরে প্রয়োজন ১০৪ কোটি ৯ লাখ টাকা মাত্র। সরকার চাইলেই তা দিতে পারে।
তাই, ২০১৯-২০ অর্থ বাজেট এই ১০৪ কোটি ৯ লাখ টাকা টাকা বরাদ্দ করে এবং আমরা অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সরকারের কাছে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
লেখক: প্রভাষক
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়]