অনার্স-মাস্টার্স ও ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতার কোনও খবর না থাকলেও কলেজগুলোর জন্য স্টুডিও খাতে খরচের বিশাল বাজেট অনুমোদন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। করোনার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় অজুহাতে এই খরচের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাদের মতে, করোনা-পরবর্তী সময়েও এই স্টুডিও থেকে অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত রাখাও এর লক্ষ্য। শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সভাপতির বক্তৃতায় এই ঘোষণা দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর নোমান-উর রশীদ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব ও উন্নয়নসহ মোট ৫৫৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বাজেট পেশ করেন। পরে তা সিনেটে অনুমোদন হয়।
অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, অ্যারোমা দত্ত এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পিএসসি’র সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, জনপ্রশাসন সচিব মো. ইউসুফ হারুন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান, জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. খন্দকার বজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান মিয়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম, মাউশির ডিজি প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদ।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষসহ ৬২ জন সম্মানিত সিনেট সদস্য এবং ৬ জন আমন্ত্রিত অতিথি অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
নিজের বক্তৃতায় উপাচার্য বলেন, ‘আমরা বেশকিছু কলেজকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত করে স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করব। কারোনাকালীন পরিস্থিতির অবসান হলেও আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিচালন ব্যবস্থায় এটা হবে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখন মানবজাতির অস্তিত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ দাঁড়িয়েছে। এরপরও আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।’