মহম্মদপুর উপজেলার ন’হাটা গার্লস স্কুল এন্ড আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ বাছাড়ের বিরুদ্ধে আনীত কয়েকটি অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত প্রমাণিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এখনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে অধ্যক্ষ আরো অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ বাছাড়ের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, জাল ভাউচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাগুরার মো. ফরিদ হোসেন এর তদন্তে সবগুলো অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এরপর গতবছরের মে মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা পরিদর্শক টুটুল কুমার নাগ ওই বিদ্যালয় তদন্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক জানান, নিয়মানুসারে প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারী যদি কোনো অপরাধে দণ্ডিত হন বা তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে উক্ত কর্মচারী তার পদে থাকার যোগ্যতা হারাবেন। কিন্তু অধ্যক্ষ সভাপতিকে হাতে রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষকদের দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে বহাল তবিয়তে কর্মরত রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য ফারুক হোসেন লুলু জানান, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারি বিধি লঙ্ঘনের পর ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষমতার জোরে ওই অধ্যক্ষ আরও অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
অনিয়ম চলমান থাকায় চলতি মাসের ১ তারিখ সনদ জালিয়াতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, বিধি-বহির্ভূত নিয়োগ ও উচ্চতর বেতন স্কেলসহ নানা অভিযোগ এনে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য ফারুক হোসেন লুলু।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. আলী মিয়া জানান, ‘প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং থাকায় কতিপয় শিক্ষক ও স্থানীয়রা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। এই প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার অনিয়মের সঙ্গে আমি জড়িত নই।
মাগুরা জেলা শিক্ষা অফিসার রণজিৎ কুমার মজুমদার জানান, নতুন যে অভিযোগগুলো দেয়া হয়েছে তা তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ বাছাড় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল অভিযোগ সত্য নয়। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হচ্ছে। তাছাড়া তিনি যা করেছেন সব প্রতিষ্ঠানের সভাপতির অনুমতিক্রমেই করেছেন।