মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতাধীন ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের জুন পর্যন্ত কিস্তির উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করেনি ডাচবাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। রকেট নামক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি টাকা বিতরণ করার কথা ছিল। সেই উপবৃত্তির টাকা আগামী মে মাসের ১৬ তারিখের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
গত ১৯ এপ্রিল দৈনিক শিক্ষাডটকমে “৮৮ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা গোপন রেখেছে ডাচবাংলা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে কর্তৃপক্ষ উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি টাকা বিতরণ না হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোষাগারে ফেরত দেয়ার বিধান থাকলেও ডাচবাংলা ও উপবৃত্তি প্রকল্পের একটি সিন্ডিকেট তা না করে এই টাকার সুদ খাচ্ছিল।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিস সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়, উপবৃত্তির অনুত্তোলিত টাকা আগামী ১৬ মের মধ্যে উত্তোলন করা না হলে তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনের বিষয়ে কোন সমস্যার উদ্ভব হলে স্থানীয় ডাচবাংলা ব্যাংক (রকেট) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা সমাধান করতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরের নোটিসে।
আরও পড়ুন : ৮৮ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা গোপন রেখেছে ডাচবাংলা