খাগড়াছড়ির মাটিরাঙাতে কোনো অনুমতি ছাড়াই রামশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দশটি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সভাপতি মো. বশির আহাম্মদের বিরুদ্ধে।
তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের পূর্বানুমতি না নিয়েই বিক্রির উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের আশাপাশে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আনুযায়ী স্কুলের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের অনুমতি নেয়ার বিধান থাকলেও কোনো নিয়মই মানেননি স্থানীয় প্রভাবশালী মো. বশির আহাম্মদ। এতে স্কুলে শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের পাশে গাছগুলো পড়ে আছে। কাটা গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যালয় ভবন এবং সীমানা প্রাচীর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্য ইউপি সদস্য বশির আহম্মদ গাছগুলো কেটেছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন না মেনে বিদ্যালয়ের মূল্যবান গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. বশির আহাম্মদের বিরুদ্ধে মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেছেন এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নুরুল আফছার গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচনের বিষয়ে গত ৬ জুন শনিবার ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কয়েকটি গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে শিক্ষা অফিসের অনুমতি পাওয়ার আগেই ফোনে জানতে পারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির উপস্থিতিতে স্কুলের গাছ কাটা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. বশির আহাম্মদ স্কুলের গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জায়গা করে দিতেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। তবে এসব গাছ বিক্রি করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার জন্য সরকারি নিয়মনীতি রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। এমনকি তারা কোনো আবেদনও করেননি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য রেঞ্জারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।