রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের অনুমতির অভাবে আইসিইউতে সিট না পাওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ওই ছাত্র মারা যান। তিনি আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন। তবে জন্ডিসের কারণে সম্প্রতি তার কিডনি অচল হয়ে যায় বলে জানান তার সহপাঠী ও বিভাগের সভাপতি।
মামুন রাজশাহীর নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন।
হাসপাতালে মামুনের সঙ্গে থাকা সহপাঠী ইসমাইল হোসেন জনি জানান, ভোর ৪টার দিকে মামুনের জন্য আইসিইউর প্রয়োজন পড়ে। তারা আইসিইউর জন্য যোগাযোগ করলে একটি 'রিজার্ভ' সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়। এই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান। সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করেন তারা; তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র ও রাজশাহী পুলিশের এএসপি একরামুল হকের সহযোগিতা চান তারা। এএসপি একরামুল হক এসপির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। সকালে তাদের পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। এরই মধ্যে মারা যান মামুন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, 'গতকাল মামুনের বাবা ও তার তিন সহপাঠী আমার কাছে এসেছিল। রাত ৪টার দিকে আমাকে এক ছাত্র মেসেজ করে আইসিইউর জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানায়। ঘুমিয়ে থাকায় তখন মেসেজের সাড়া দিতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই মারা যায় সে।'
এ বিষয়ে মামুনের বাবা আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।