নবাবগঞ্জ উপজেলায় অপহরণের পাঁচ দিন পর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ছাত্রী কানিজ ফাতেমা মুক্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ফাতেমার স্বামী আলমগীর ও দেবর ফারুককে আটক করেছে পুলিশ। তারা উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের শোল্লা ছোট তাশুল্লা গ্রামের মো. মোসলেমের ছেলে।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ছোট তাশুল্লা গ্রামের মো. মোসলেমের বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মুক্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মুক্তা রাজধানীর মধ্য বাড্ডার মো. মজিবরের মেয়ে। তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
নিহতের বাবা মো. মজিবর জানান, পাঁচ দিন আগে বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশে বের হয় কানিজ ফাতেমা। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি সে। নবাবগঞ্জের ছোট তাশুল্লা গ্রামের মোসলেমের ছেলে আলমগীর কানিজ ফাতেমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আলমগীরের বাবা মো. মোসলেম তিন দিন পর মোবাইল ফোনে তাকে জানান, ফাতেমা ভালো আছে ও তাদের বাড়িতে আছে।
শনিবার সকালে তিনি তার মেয়ে কানিজ ফাতেমার মৃত্যুর সংবাদ পান। এটিকে তিনি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন।
এদিকে আটক আলমগীর দাবি করে বলেন, আমি অপহরণ করিনি। দুই বছর আগে কানিজ ফাতেমা মুক্তার সঙ্গে আমার আদালতের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে আমি ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় ছিলাম।