নবসৃষ্ট অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ২য় ল্যাব সহকারী পদে আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নিয়োগ দেবে সরকার। স্কুল এন্ড কলেজ ও কলেজে এসব পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর নতুন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদসমূহে কোন বছর কতজন নিয়োগ দেয়া যুক্তিসংগত হবে এবং নিয়োগ দিলে সরকারের মোট কত ব্যয় হবে তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষিতে নবসৃষ্ট অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ২য় ল্যাব সহকারী পদে আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে নিয়োগ প্রদানের পক্ষে মত দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অধিদপ্তরের একজন পরিচালক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০১৮ অনুযায়ী নবসৃষ্ট অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ২য় ল্যাব সহকারী পদে আগামী অর্থবছর থেকে নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজে ল্যাবরেটরি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ল্যাবরেটরি থাকলে কলেজ কর্তৃপক্ষ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ২য় ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের ১৬ বেতন কোডে এমপিও প্রদান করা হবে। ২য় পদের ল্যাব সহকারীরা এমপিও পাবেন ১৮ বেতন কোডে।
অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে আরও জানায়, এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮ অনুসারে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ২য় ল্যাব সহকারী পদ দু’টি প্যাটার্নভুক্ত। কিন্তু নীতিমালার ২৪ এর (ঘ) ধারা অনুযায়ী বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদে নিয়োগের বিষয়ে সরকার পৃথক আদেশ করবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তাই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদগুলোতে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়ে নির্দেশনা প্রয়োজন।
গত ১২ জুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো -২০১৮ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় আইসিটি বিষয়সহ দুটি প্রদর্শক পদ, বিজ্ঞানের ৪টি বিষয়ে ল্যাব সহকারী এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদটি প্যাটার্নভুক্ত করা হয়। এসময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি সাপেক্ষে এ পদগুলো প্যাটার্নভুক্ত করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানান কর্মকর্তারা। তবে সরকারের বাজেট বরাদ্দের ভারসাম্য রক্ষায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সকল পদে একসাথে নিয়োগ না দিয়ে আগামী ৫ বছর পর্যায়ক্রমে নিয়োগের পরামর্শ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
এরপর গত ৬ ডিসেম্বর নতুন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদসমূহে কোন বছর কতজন নিয়োগ দেয়া যুক্তিসংগত হবে এবং নিয়োগ দিলে সরকারের মোট কত ব্যয় হবে তা জানতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে এসব তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে এবং নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব দৈনিক শিক্ষাকে জানান, নতুন জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষক-কমর্চারীদের পদবৃদ্ধি ও পদসৃষ্টি করা হয়েছে। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদে পর্যায়ক্রমের নিয়োগ দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। কোন বছর কোন পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করা হবে তা পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে।