মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিয়োগ প্রার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। পুলিশি বাধার মুখে ফের তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
পরে নিয়োগ প্রার্থীদের সাতজনকে পুলিশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের কাছে নিয়ে যান। তারা দাবির বিষয়টি মহাপরিচালককে অবহিত করেন। এ সময় তিনি ফল প্রত্যাশিদের বলেন, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী অধিদপ্তরে আসবেন। ওইদিন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বিড়াম্বনার বিষয়টি মন্ত্রীকে জানানো হবে। তিনি যাতে অ্যার্টনি জেনারেলকে মামলার বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেন। বৈঠক শেষে ফল প্রত্যাশিদের প্রতিনিধি আক্তার হোসেন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে নিয়োগ প্রার্থী আক্তার হোসেন,রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুল গফফার বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৬ বছর এবং মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার পর ১ বছর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও ফল দিতে পারেনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অন্য সব পদে নিয়োগ শেষ হলেও অফিস সহায়ক পদের ফল প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফল প্রকাশের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নতুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকবার মানববন্ধন করা হয়। এরপরও ফল প্রকাশ হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। একই বছর ১৪ জুন প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে তা দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয়। নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণের সঙ্গে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির তৎকালীন কতিপয় নেতা জড়িয়ে পড়েন। দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে জানতে চাওয়া হয় বিস্তারিত। কিন্তু পাঁচ বছরের দুদকের ওই চিঠির জবাব দেয়নি শিক্ষা অধিদপ্তর।
পরে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৭ জুলাই ৪র্থ শ্রেণির অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ হাজার ৮৭৮ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনো ফল প্রকাশ করা হয়নি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অন্য সব পদের নিয়োগ সম্পন্ন হলেও অফিস সহায়ক ও বুক সর্টার পদের নিয়োগ আটকে রয়েছে।