অবশেষে অগ্রিম ফল জানা বন্ধ হয়েছে। ২০০৩-২০০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের আগের দিন বিকেলে অথবা রাতে এসএসসি, এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষার ফল জানার চর্চা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড সমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সন্তানদের ফল আগেই জেনে নেয়া শুরু করেন। দিনে দিনে এ অন্যায় চর্চায় যোগ দেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, আমলারা ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা কিছু তথাকথিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ। কিন্তু এ বছর ছেদ পড়েছে। গতকাল (৫ মে) রাতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানগণ। ফলাফলের সারাংশ তৈরির পর সিস্টেম অ্যানালিস্টদের কক্ষে তালা মেরে দেয়া হয়। অগ্রিম ফল জানার জন্য বোর্ড কর্মকর্তাদের হাতে থাকা শত শত রোল নম্বর সিজ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, “শিক্ষাসচিব ও ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান স্যারদের কড়া নির্দেশ, আজ (৬মে) বারোটার আগে সিস্টেম অ্যানালিস্টদের কক্ষ খোলা যাবে না।”
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক একজন জনসংযোগ কর্মকর্তা ও বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখার উপ-সচিব গতরাতে নিজ কন্যার ফল জানার জন্য ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনকে অনুরোধ করেন। আরো কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে হাঙ্কিপাঙ্কি করেন। কিন্তু কেউই পাত্তা দেননি উপ-সচিবকে। তিনি ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন।
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান মুহা: জিয়াউল হকের সাফ কথা, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিক ফল হস্তান্তরের আগে কেউ ফল জানতে পারবে না। এমনকি পাসের হারও না। ”