প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে বাধ্য হওয়া সেই এসএসসি পরীক্ষার্থী পপি অবশেষে পরীক্ষা দিতে পারছে। দৈনিক শিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর পপির প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষককে হাজির হতে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়। সকাল দশটার কিছু সময় আগে রাজধানীর বাসাবো এলাকার নুর মোহাম্মদ দাখিল মাদরাসায় এসএসসি ভোকেশনালের কেন্দ্রে হাজির হন অভিযুক্ত শিক্ষক মাহিনসহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন : টাকার লোভে প্রবেশপত্র আটকে রেখেছেন শিক্ষক, পপির পরীক্ষা অনিশ্চিত
এসময় অভিযুক্ত শিক্ষকদের কেন্দ্র পরিদর্শক বলেন, পপি ফরম পূরণ করেনি বলে তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। তাহলে তাকে এসএসসি পরীক্ষায় বসার অনুমতি কীভাবে দেয়া হলো জানতে চাইলে তারা মিনমিন করে অন্য প্রসঙ্গে চলে যান।
তখন তিনি বলেন, টেস্ট পরীক্ষায় পাস না করায় তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। যদি পাস না করে তাহলে প্রবেশপত্র বোর্ড থেকে আসলো কীভাবে? এমন প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অভিযুক্ত শিক্ষকরা।
৩ ফেব্রুয়ারি সকালে দৈনিক শিক্ষাডটকমে খবর আসে রাজধানীর মান্ডা এলাকার দি লার্নিং ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী পপি সকাল নয়টায় পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্রে পৌঁছায়। পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানকে চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তার প্রবেশপত্র আটকে রাখা হয়।
এদিকে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে কান্নাকাটির পর প্রবেশপত্র পেলো ধামরাইয়ের যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই ৩৭জন পরীক্ষার্থী। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটায় ২০ জন শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছেন। প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। যাদবপুর বিএম হাই স্কুল থেকে উত্তরণ প্রি ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুল, খোরশেদ নগর পাবলিক স্কুল ও সৈকত মডেল স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন।