অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা অযৌক্তিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে মুদ্রণ শিল্প সমিতি। টানা পাঁচ দিন ধর্মঘট পালনের পর শনিবার আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতারা।
মূদ্রন শিল্প সমিতির দুটি অংশ সব সরকারের আমলেই সরকারকে জিম্মি করে পাঠ্যবই ছাপা ও পরিবহনে অধিক মুনাফা অর্জন করে থাকে। যখন তখন ধর্মঘট ডাকেন। গত কয়েকবছর যাবত সরকার সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিতে পারছে।
বই মুদ্রন ও প্রস্তুতকারীরা নিন্মমানের কাগজ ও সেলাই করায় বছর শেষ হওয়ার আগেই বই ছিড়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই অন্য অজুহাত দেখিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়ার অভিযোগ বেশ পুরনো।
মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সঙ্গে আলাপ শেষে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এনসিটিবির সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক হয়।
তিনি বলেন, আমাদের তিনটি দাবি মেনে নেয়া হলেও পাঠ্যবই পৌঁছানের দাবিটি এখনও চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়নি। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর এ শর্ত বাতিল করার আশ্বাস দিয়েছে এনসিটিবির চেয়ারম্যান। এ কারণে আমরা আজ থেকে আবারও বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছি।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আজ মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাদের সব দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। তারা আজ থেকে আবারও পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
টানা পাঁচ দিন কাজ বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেয়া সম্ভব হবে কিনা এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক বই তৈরি হয়ে গেছে। বাকিগুলো ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব হবে বলে মুদ্রণ সমিতির নেতারা অঙ্গীকার করেছেন। তাই নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যবই বিতরণ নিয়ে কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।