অবশেষে প্রক্টরের সুপারিশে মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছেন চবির ১১ শিক্ষার্থী - দৈনিকশিক্ষা

অবশেষে প্রক্টরের সুপারিশে মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছেন চবির ১১ শিক্ষার্থী

চবি প্রতিনিধি |

ক্লাসে উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশ। দুই বার আবেদন করেও বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি থেকে মিলেনি পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি। প্রক্টরের সুপারিশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতকোত্তর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে মাস্টার্স নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর।

এদের মধ্যে দুইজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী। বিনিময়ে ওই ১১ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা নিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার ফরম পূরণ না করেও ওই ১১ শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় স্নাতকোত্তর নিয়মিত পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপস্থিতির হার (অ্যাটেন্ডেন্স) ৩০ শতাংশের কম হলে তাকে পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় পুনরায় বিষয়টি উঠলেও অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

পরে ওই ১১ শিক্ষার্থী বিভাগের সভাপতির মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে আবেদন জানালে বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগকে পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয় দফতরটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সুপারিশের ভিত্তিতে অনুমতি দেয়া হলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে তিন হাজার টাকার পে- অর্ডার করতে বলা হয় ওই ১১ শিক্ষার্থীকে।

এদিকে একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত না মেনে পরীক্ষার অনুমতি দেয়ায় ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিধি মোতাবেক এ অনুমতি’- তা জানতে চেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরকে চিঠি দিয়েছেন বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সদস্য ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খাদিজা মিতু। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এনএম সাজ্জাদুল হক বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের চিঠি পেয়ে পরীক্ষা কমিটিকে পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। অতীতেও এ রকম অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এমনকি শূন্য শতাংশ উপস্থিতির হার নিয়েও পরীক্ষা দেয়ার নজির রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের আবেদনটি উপাচার্য মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করা হলে তিনি প্রক্টরকে এ বিষয়ে মতামত ও সিদ্ধান্ত দিতে বলেন। কয়েক শতাংশ উপস্থিতির হারের (অ্যাটেন্ডেন্স) জন্য শিক্ষার্থীরা একটি প্রোগ্রাম থেকে বাদ হয়ে যাবেন তা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়টি বিবেচনা করেছেন। তিনি চাইলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069689750671387