সিদ্ধিরগঞ্জ সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে অবশেষে যোগদান করেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পাওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন ও কনটেম্পট মামলা দায়ের করেছিলেন। ঐ মামলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনকে বিবাদী করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে অবশেষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে নিয়োগপত্র দিতে বাধ্য হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজেদের স্বার্থে ৯ বছর প্রধান শিক্ষকের পদটি খালি রেখেছিল।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়েছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে। রিট পিটিশনকারী রফিকুল ইসলাম উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করার কথা জানান। কিন্তু পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগপত্র না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও নিয়োগপত্র পাননি। এরপর তিনি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের সব অনিয়ম দূর করা হবে। শিক্ষার সর্বোচ্চমান বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা চাই।