সর্বশেষ দুই কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যদিও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসিরা। কিন্তু ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কোপার আসরে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যান মেসিরা। প্রথম ম্যাচে হার এবং পরের ম্যাচে সমতা করে বিপাকে পড়ে যায় লিওনেল স্কালোনির দল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে সমতা কিংবা জয় পেলেও বিদায়ের শঙ্কা ছিল তাদের। তবে আর্জেন্টিনা সমতা নয় কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে।
অপর ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে প্যারাগুয়ে। আর্জেন্টিনা তাই উঠে গেছে শেষ আটে। 'বি' গ্রুপে তিন ম্যাচেই জিতে সেরা দল হয়েছে কলম্বিয়া। ওদিকে এক জয় এবং এক সমতায় চার পয়েন্ট আর্জেন্টিনার।
ম্যাচের শুরুতেই বুকের ওপর চেয়ে থাকা চাপের পাথর সরিয়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ম্যাচের ৪ মিনিটে গোল করেন তরুণ ফরোয়ার্ড লওতেরো মার্টিনেজ। এরপর কাতার আবার দারুণভাবে থামিয়ে রাখে দু'বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। প্রথমার্ধে এক গোলের ওই লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে আলবেসেলেস্তেরা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৮২ মিনিটে গোল করেন আগুয়েরো। দূর করেন দলের চিন্তা।
সর্বশেষ ১৯৮৩ কোপার আসরে গ্রুপ পর্ব উৎরাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এবার অবশ্য সেটা আগুয়েরোরা হতে দেননি। তবে বল দখলের লড়াইয়ে কাতার পাল্লা দিয়ে গেছে আর্জেন্টিনার সঙ্গে। ম্যাচের ৪৬ ভাগ বল তারা পায়ে রাখে। অন্যদিকে গোলের লক্ষ্যে শট নিতে পারে মাত্র একটি। আর্জেন্টিনা অবশ্য গোলের লক্ষ্যে সাতটি এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেয় আটটি।
তবে আর্জেন্টিনা বলতে যা বোঝায় কিংবা আর্জেন্টিনার যে ফুটবল শৈলী তা মেসিদের পায়ে ফোটেনি। আক্রমণে ছিল না তেমন ধার। গোছালো ফুটবল দেখা যায়নি। আর্জেন্টিনার পাড় ভক্তও এই ম্যাচ দেখে তৃপ্তি পেয়েছেন কি-না সন্দেহ। বল পায়ে নিয়ে সময় পার করতেই ব্যস্ত থেকেছে তারা। ছিল না তেমন গতিও। ফুটবল যেন 'টেস্ট ক্রিকেট' হয়ে দাঁড়ায় তাদের কাছে। ৯০ মিনিট মাঠে থাকার যার লক্ষ্য! তবে আর্জেন্টিনার জন্য ভালো ব্যাপার হলো শেষ আটে উন্নতি দেখানোর সুযোগ আছে তাদের। সুযোগ আছে গেল দুই আসরের মতো কোপার ফাইনালে ওঠারও।
