অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন আদেশ বাতিল ও পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস এবং কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বাড়তি কাগজে বাড়তি ভোগান্তির অবসান দাবিতে আগামীকাল রোববার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের অফিস ঘেরাও করবেন শিক্ষকরা।
রাজধানীর পলাশীর ব্যানবেইস ভবনে ভাড়ায় থাকে অবসর ও কল্যাণ অফিস। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকরা। শনিবার (২৭ জুলাই) দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিটিএ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কাওছার আলী শেখ।
সারাদেশ থেকে দলে দলে শিক্ষকরা অবসর ও কল্যাণ অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানান কাওছার আলী শেখ।
এর আগে গত ২৪ জুলাই প্রতিটি জেলা শহরে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্রতীকী অনশন’ পালন করেন তারা। প্রতীকী অনশনে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণ, ঈদের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূণাঙ্গ বোনাস দেয়া, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
এদিকে গত ২২ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত চাঁদা কর্তনের জন্য দশ বছর ধরে কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য-সচিব পদে থাকা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে দায়ী করা হয়। নতুন সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদকেও দায়ী করা হয়। এছাড়াও অবসর ও কল্যাণের দুই সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী ও শাহজাহান আলম সাজুর পদত্যাগ দাবি করা হয়।
যুক্তি হিসেবে বলা হয়, সদস্য-সচিবরা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভোগান্তি কমাতে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। নতুন স্কেলে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাওয়ার জন্য দুইবার কাগজ দিতে বাধ্য করা হয় অসহায় শিক্ষকদের। তা ছাড়া দুই সদস্য-সচিবের একজন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও আরেকজন কিশোরগঞ্জে থাকার ফলে সমন্বয় করতে পারছেন না।
ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সহ সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, গ্রন্থাগার সম্পাদক অশোক কান্তি গুহ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা রহমান, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, কেন্দ্রীয় সদস্য, আজম আলী খান, প্রবীর রঞ্জন, মনোরঞ্জন মণ্ডলসহ হাজার হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী।