অবসর সুবিধার আবেদন শুধুই অনলাইনে, দালাল ধরবেন না(ভিডিও) - দৈনিকশিক্ষা

অবসর সুবিধার আবেদন শুধুই অনলাইনে, দালাল ধরবেন না(ভিডিও)

অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী, সদস্য-সচিব, অবসর সুবিধা বোর্ড |

এমন একটা সময় ছিল, যখন অবসরে যাওয়া বেসরকারি শিক্ষকরা পাঁচবছরেও তাদের এককালীন অবসর সুবিধার টাকা পেতেন না। এর কারণ ছিল বোর্ডের তহবিলে টাকার অভাবসহ নানারকম জটিলতা। এখন অবস্থা পাল্টে গেছে। এখন আর শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধার টাকা পাওয়ার জন্য হয়রানির শিকার হতে হয় না কিংবা অপেক্ষার প্রহরও গুনতে হয় না। এমনকী, এখন টাকা পাওয়ার আবেদন করতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সশরীরে উপস্থিত হওয়ার দরকারও পড়ে না। ডিজিটালাইজেশনের আওতায় অনলাইনে প্রয়োজনীয় সব কাজই সারা যায়।

অবসর সুবিধাপ্রত্যাশীদের জন্য হয়রানির বিষয় ছিল রাজধানীর ব্যানবেইস ভবনে অবস্থিত অবসর সুবিধার অফিসে ম্যানুয়ালিভাবে নিজে স্বয়ং উপস্থিত হয়ে কাউন্টারে আবেদন জমা দেয়া। অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেয়া ও কাগজপত্র জমা দেয়ার পদ্ধতি চালু হওয়ায় তারা এখন নিজ নিজ উপজেলা বা প্রতিষ্ঠান থেকেই আবেদন পাঠাতে পারেন। এতে তাদের শারীরিক শ্রম ও অর্থনৈতিক ব্যয়বহুলতা কমে গেছে। এখন কাউকে কষ্ট করে ঢাকায় এসে এই দশ বারো রকমের আবেদন জমা দিতে হয়না। ঘরে বসেই যে শিক্ষক অবসরে গেছেন তার উপজেলার অথবা কিংবা তার প্রতিষ্ঠানে বসেই আবেদনটি করতে পারবেন। শুধু তাই নয় উনার আবেদনটি এখন কোন পর্যায়ে আছে তাও জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে একটি কল সেন্টারও চালু করা হয়েছে।

কল স্টোরের ডিজিটাল নাম্বারটি এখনো চালু করা না হলেও ম্যানুয়াল নাম্বার  ৯৬৬২১৮২-তে কল করলেই প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। এমনকী অবসরে যাওয়া শিক্ষকের আবেদন পত্রের সত্যতা প্রমাণের জন্য প্রধান শিক্ষক বা স্কুল কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরেরও প্রয়োজন হবে না। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ই.এম. আই.এস. সেলের মাধ্যমে আবেদনের সত্যতা জানা যাবে। আগামি এক মাসের মধ্যেই এটা চালু হয়ে যাবে।

পেনসনের টাকাও আর চেকের মাধ্যমে পাঠানোর দরকার হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে তা ব্যাংকে পাঠানো যাবে। টাকা পাওয়ার জন্য এখন আর কোনো মধ্যস্থতাকারী বা দালালের দরকার হবে না।

২০১৬ খ্রিস্টাব্দে অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব হিসেবে যোগ দিয়ে দেখতে পাই অবসর সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে আসা আবেদন পত্রের পাহাড়সম এক বিশাল স্তূপ। ২০১০ বা ২০১১ খ্রিস্টাব্দে একজন অবসরে যাওয়া শিক্ষক বা কর্মচারী আবেদন করেও তার প্রাপ্য টাকা পাননি। এর কারণ ছিল তহবিলে পর্যাপ্ত টাকার অভাব এবং আনুষঙ্গিক বিভিন্ন সমস্যা। শিক্ষাসচিব ও বোর্ডের সভাপতি মো:সোহরাব হোসাইনের সার্বিক  সহায়তায় এরই মধ্যে চেষ্টা চালিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করেছি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী ৫০০ কোটি টাকা সীডমানি এবং একশ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ নিয়েছি।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে আরো দেড়শ কোটি টাকা পেলাম থোক বরাদ্দ হিসেবে। এ টাকা দিয়ে দ্রুত কাজ সারতে শুরু করায় বর্তমানে আগে যেখানে পাঁচ বছরের গ্যাপ ছিল, সেটি এখন তিন বছর এসে দাড়িয়েছে। 

অবসর সুবিধার টাকা পাওয়াটা একটা কঠিন ও মরণপণ লড়াইয়ের মতো ছিল। মধ্যস্থতাকারীদের কারবার আমরা শেষ করে দিয়েছি। মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্য এখন আর অবসর বোর্ডে নেই। এটি আমার একটি লড়াই ছিল। আমি ছাত্রজীবন থেকে যে সংগ্রাম করে আসছি সেখানে কোনদিন ব্যর্থ হয়নি। আজকে অবসর বোর্ডে এসেও সে লড়াই করছি। তার বিশ্বাস, দুর্নীতির কালো ছায়া থাকলে সেটি দূর করতে তিনি দূর করতে সক্ষম হবেন।

অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী, সদস্য-সচিব,বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054609775543213