১১ শিক্ষকের অবৈধ এমপিওভুক্তির বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন নওগাঁর পোরশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলী। কিন্তু এমপিও শিটে অভিযোগটির সত্যতা পায়নি কর্মকর্তারা। তথ্য প্রমাণ ছাড়া এ ধরণের অভিযোগ পাঠানো বিষয়ে এ শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যাখ্যা চেয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে, শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি এসব শিক্ষকরা অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিওভুক্ত রয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি নওগাঁর পোরশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলী কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার টেকনিক্যাল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ৮ জন শিক্ষক এবং আনোয়ারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষকসহ মোট ১১জন শিক্ষক ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। পরবর্তীতে তারা এমপিওভুক্ত হয়ে সরকারি বেতন ভাতা ভোগ করছেন।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, একজন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার থেকে এ ধরণের গুরতর অভিযোগ পাওয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শিটে দেখা যায়, অভিযোগে উল্লেখিত ১১ শিক্ষক এমপিওভুক্ত নন।
এ ১১ শিক্ষক এমপিওভুক্ত না হওয়ার পরেও তথ্য প্রমাণ ছাড়া এধরণের গুরতর অভিযোগ প্রেরণের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলীর ব্যাখ্যা তলব করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযোগ পাঠনোর বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ ব্যাখ্যা ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠতে বলা হয়েছে এ কর্মকর্তাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁর পোরশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলী দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এ দুই প্রতিষ্ঠানের ১১ শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে অডিটে আসা ডিআইএর একজন কর্মকর্তা আমাকে টেলিফোনে জানান। সে সময় আমি নাটোরের সিংড়া উপজেলায় কর্মরত ছিলাম। ১১ শিক্ষকের নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশনে আমার নাম থাকলেও স্বাক্ষর নেই বলে আমাকে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখতে গেলে নিয়োগ রেজুলেশনে আমার স্বাক্ষর নিতে বহুবার দালাল ও বিভিন্ন তদবিরবাজ দিয়ে আমাকে চাপ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি কারিগরি হলেও নাটোরের সিংড়া উপজেলার টেকনিক্যাল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক কর্মচারীরা এবং আনোয়ারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিওভুক্ত। তাই দুই অধিদপ্তরেই অভিযোগ করেছি। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে একজন কর্মকর্তার সাথে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌছায়নি। চিঠি পেলে তার উত্তর দেব।