নীলফামারী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের কম্পিউটার অপারেশন বিষয়ের ২য় পদের প্রভাষক জীবশীষ চন্দ্র রায় ও হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক সচিন্দ্র নাথ রায়ের এমপিও বাতিল হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ এবং অবৈধভাবে এমপিওভুক্তির অভিযোগ রয়েছে। আর এসব অভিযোগে তাদের এমপিও কেন বাতিল করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নীলফামারী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের সভাপতি মো: সাবেত আলী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এই দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
কম্পিউটার অপারেশন ২য় পদের প্রভাষক জীবশীষ চন্দ্র রায়ের এমপিও ভুক্তির আবেদন যাচাইকালে দেখা যায়, যে তার আবেদন সঠিক নয়। নিয়োগ বাছাই কমিটিতে বোর্ড প্রতিনিধির প্রমাণ নেই। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের জনবল কাঠামো অনুযায়ী নিয়োগের সময় ২য় পদের প্রাপ্যতা ছিল না। হালনাগাদ এবং নিয়োগকালীন ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ সংক্রান্ত কোন প্রমাণ নেই। নিয়োগের মূল টেবুলেশন শিট টেম্পারিং করা হয়েছে। প্রথম এমপিওভুক্তির আবেদনের সাথে সংযুক্ত পত্রিকার সাথে ১৫ জুলাই ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের প্রেরিত পত্রিকার গরমিল রয়েছে। এমপিও আবেদন পত্রে সভাপতির স্বাক্ষরের সাথে সিলে সভাপতির নাম উল্লেখ নেই। মহিলা কোটা পূরণ নেই এবং মহিলা কোটা পূরণের ক্ষেত্রে পরে দাখিলকৃত পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি টেম্পারিং করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তসনদও সরকার স্বীকৃত নয় তার। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের জনবল কাঠামো অনুযায়ী এ পদের প্রাপ্যতা ছিল না তার।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নীলফামারী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের প্রভাষক সচিন্দ্র নাথ রায়ের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তি সঠিক নয়। তার নিয়োগ সংক্রান্ত ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়ন পত্রটি টেম্পারিং করা। সচিন্দ্র নাথের মনোনয়ন পত্র সাক্ষরকারী সহকারী পরিচালক জহুরুল ইসলাম পত্র জারির তারিখে (২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মে) এ পদে কর্মরত ছিল না।
এছাড়া নোটিসে জানানো হয়, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২য় পদের প্রভাষক সচিন্দ্র নাথ রায় এবং কম্পিউটার অপারেশন ২য় পদের প্রভাষক জীবশীষ চন্দ্র রায় কম্পিউটার অপারেশন নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে এমপিও ভুক্তির আবেদন প্রেরণ করায় সেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম এমপিও বাতিলযোগ্য বলে মনে করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
জাল কাগজ তৈরি করে প্রভাষক সচিন্দ্র নাথ রায় নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও নিদেশিকা জনবল কাঠামো ২০১০ (২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে সংশোধিত) ১৮(১) এর (গ) ধারা মোতাবেক তার এমপিওভুক্তি বাতিল ও এমপিওভুক্ত থাকাকালে প্রাপ্ত সকল অর্থ ফেরত কেন দেওয়া হবে না তার ব্যাখ্যা সাত কর্মদিবসের মধ্যে চেয়েছে কারিগার শিক্ষা অধিদপ্তর।
এছাড়া জাল কাগজ তৈরি করে সচিন্দ্র নাথ রায়ের এমপিওভুক্তি এবং প্রভাষক জিবশীষ চন্দ্র রায়ের এমপিও আবেদন পাঠানোয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও নিদেশিকা জনবল কাঠামো ২০১০ (২০১৩ খ্রিস্টাব্দের মার্চে সংশোধিত) ১৮(১) এর (গ) ও (ঘ) ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলামের এমপিওভুক্তি কেন বাতিল করা হবে না হবে না তার ব্যাখ্যা সাত কর্মদিবসের মধ্যে চেয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।