অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফলগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইদার রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। ছাইদার রহমান মন্ডল অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত থেকে এমপিও ভোগ করছেন। তিনি জালিয়াতি করে কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয় শিক্ষা অধিদপ্তরকে। এ প্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে অধিদপ্তর। গাইবান্ধার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযোগ আমলে নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা অধিদপ্তরকে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অভিযোগটি তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার মিল্টন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযোগটি তদন্ত করে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে গাইবান্ধার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের আগে প্রতিষ্ঠানটিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ছাইদার মন্ডলের শ্বশুর আজগর আলী মিয়া স্কুলটির পূর্ববর্তী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শ্বশুর আজগর আলী মিয়া অবসর নিলে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়েছেন ছাইদার। তার সব শিক্ষাগত যোগ্যতা তৃতীয় বিভাগের। তাই পত্রিকায় কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে অবৈধভাবে ছাইদার রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধান শিক্ষক ছাইদার কৃষি শিক্ষক সায়মা বেগমের জায়গায় ভুয়া স্টাম্পিং তৈরি করে ফারুক মিয়াকে এমপিও করার চেষ্টা করছেন। লাইব্রেরিয়ান পদে মোশারফ হোসেন এমপিও থাকা সত্ত্বেও তাকে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক দেখিয়ে সাইফুল ইসলাম নামে অপর এক প্রার্থীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করেছেন তিনি। এছাড়া অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নুরজাহান বেগমের বদলে মো. মাইদুল ইসলামকে অফিস সহকারী হিসেবে এমপিওভুক্ত করেন।