অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ না করে একই কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন ময়মনসিংহের মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন। এতে সরকারি বিধান মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন। এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন দৈনিক শিক্ষার কাছে দাবি করেছেন, পদত্যাগ করেই আবেদন করেছিলেন তিনি।
সহকারী শিক্ষক রাহাত জাহান হোসেনের করা অভিযোগে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য গত ৮ মে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। তিনি নিজেই আবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবরে অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেন। অথচ ২২ জুন অনুষ্ঠিত গর্ভনিং বডির সভায় অধ্যক্ষ পদে যাচাই-বাছাই ও নিয়োগকালীন কাজের জন্য সহকারী অধ্যাপক নিশাত ওসমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। নিয়োগের সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৩০ জুন। কিন্তু ২৬ জুন চিঠি দিয়ে অধ্যক্ষ প্রার্থীদের জানানো হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে গত জুলাই মাসের সরকারী বেতন বিল ও ঈদ উৎসব ভাতা বিল মেয়াদহীন কমিটির সভাপতি ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে স্বাক্ষরে উত্তোলন করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী কমিটি না থাকলে বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার , জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিলে স্বাক্ষর করবেন। এ সম্পর্কে আলাউদ্দিন বলেন, বেতন-ভাতার বিলে মেয়াদহীন কমিটি সভাপতির স্বাক্ষরে উত্তোলন করার বিধান আছে।
এব্যাপারে শিক্ষক আলাউদ্দিন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, পত্রিকায় দেয়া প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ভুল থাকায় আবারো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। এরপর অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। আর আমি পদত্যাগ করার পরবর্তীতে ৩০ জুন গর্ভনিং বডির পরবর্তী সভায় আমাকে আবারো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। গত ৭ জুলাই গর্ভনিং বডির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন কমিটি হলে নতুন করে অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শ্যালককে নকল দিতে গিয়ে ধরা খেলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফরহাদ