যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তালেব মিয়া অবৈধভাবে নেয়া বাড়িভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন। অবৈধভাবে বাড়িভাড়া নেয়ার খবর জানাজানি হওয়ায় গত ২৮ নভেম্বর সরকারি কোষাগারে ৯২ হাজার ১৬৪ টাকা জমা দিয়েছেন তিনি। চালানের মাধ্যমে এই টাকা জমা দেয়া হয়। আবু তালেব বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তালেব মিয়া ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সরকারি বাসভবনে থাকছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও তিনি সরকারি কোষাগার থেকে বাড়িভাড়া তোলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি ওই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি।
যশোর জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জিএম জিল্লুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া সরকারি বাসভবনে থাকার পরও বাড়িভাড়া তুলেছিলেন। তার জন্য বরাদ্দ সরকারি বাসভবন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ওইদিন পর্যন্ত বাড়িভাড়া বাবদ উত্তোলিত ৯২ হাজার ১৬৪ টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
যশোর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের তথ্য, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর এমএম কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর আবু তালেব মিয়া। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে আগের মাসের বাড়িভাড়া বাবদ ২২ হাজার ১৪৮ টাকা উত্তোলন করেছেন। এরপর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ২৩ হাজার ৩৭ টাকা করে উঠিয়ে নেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাড়িভাড়া বাবদ মাসে ২৩ হাজার ৯৬১ টাকা উত্তোলন করেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মার্চ জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কনডেমেশন কমিটির সভায় সরকারি এমএম কলেজ অধ্যক্ষের বাসভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বাসভবন পরিত্যক্ত করায় মহিলা হোস্টেল সুপারের বাসভবনে থাকছিলেন তিনি। যোগদানের পর থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ৫ মে পর্যন্ত বাড়িভাড়া বাবদ ৯২ হাজার ১৬৪ টাকা উত্তোলন করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তালেব মিয়া দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, সরকারি বাসভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দুই মাস হলো সেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে কিছুদিন থেকেছি। ক্যাম্পাসের অদূরেই থাকি।