অবৈধভাবে এমপিওভুক্তি ও ঘুষলেনদেনের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন অঞ্চলের ৮ জন প্রোগ্রামারকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে ১২ আগস্টের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
বদলিকৃতরা সবাই এমপিও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত এবং প্রতিমাসে অবৈধভাবে এমপিওভুক্তি করিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। ৮ জনের মধ্যে তিনজন সেসিপের অর্থাৎ তাদের চাকরি অস্থায়ী। দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায় সেসিপের প্রোগ্রামাররা তুলনামূলক বেশি দুর্নীতিতে যুক্ত। এদের মধ্যে সাইফুর নামের একজনকে দুদক গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত।
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুরের প্রোগ্রামার আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে জুলাই মাসের এমপিও থেকে ৮ জনের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
খুলনার প্রোগ্রামার (সেসিপ) জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মনির নামের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের একজন কর্মচারীর সহায়তায় রাতের আধাঁরে এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ করেছেন খুলনা অঞ্চলের পরিচালক। মনিরকে শিক্ষাভবনেও ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনির দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, খুলনার প্রোগ্রামার জাহাঙ্গীর আমার বন্ধু, অভিজ্ঞতা না থাকায় একটু হেল্প করেছি মাত্র।
খুলনা অফিসেরর উপপরিচাল অবৈধভাবে অফিসেই রাত্রিযাপন করেন। প্রোগ্রামার ও উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে অভিযোগ উঠলেও উপপরিচালক বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন হয়নি।
বদলির তালিকা দেখুন।