অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম শাহ আলমের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বেশ কিছুদিন আগে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীকে বাদ দিয়ে পেছন থেকে একজন প্রভাষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এক বছর আগে অভিযোগটি তদন্তের জন্য অধ্যক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হলেও তা করেননি তিনি।
তাই, অধ্যক্ষ এ কে এম শাহ আলমের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। একইসাথে তার এমপিও কেন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি শিক্ষা অধিদপ্তর পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট আদর্শ কলেজের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ দাখিল করেন হাসনা হেনা নামের একজন প্রার্থী। নিজেকে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী দাবি করেন তিনি। তিনি অভিযোগ জানান, তাকে বাদ দিয়ে পেছন থেকে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তাকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এরপর অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ১ম দফায় ২০১৯খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র দেখাননি অধ্যক্ষ। পরে একই বছর ৫ নভেম্বর ফের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি দেয় অধিদপ্তর। কিন্তু সে চিঠিরও কোনো জবাব দেননি তিনি। গত ২১ জানুয়ারি থেকে এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে জানানো হয়েছে।
তাই, অধ্যক্ষ এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর স্থায়ীভাবে তার এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে শোকজ করতে বলা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরকে। শোকজের জবাব এর উপর অধিদপ্তর প্রতিবেদন তৈরি করে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাবে।
একই সাথে প্রভাষক হাসনাহেনার নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী প্যাটার্নের শূন্যপদের বিপরীতে ছিল কিনা এবং বিধি মোতাবেক তার নিয়ম সঠিক ছিল কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে। মন্ত্রণালয় থেকে গত ১১ জুন এসব নির্দেশনা দিয়ে চিঠি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।