ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন। ১০ এপ্রিল এ চার্জশিট আমলে নিতে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা। এজাহারভুক্ত অপর আসামি শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে চার্জশিটে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৩ নভেম্বর পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর মোবাইলে ফোন করেন। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। বাবা দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়ে অরিত্রীকে নিয়ে পরদিন স্কুলে যান। এ সময় ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। নিয়ে যেতে বলেন মেয়ের টিসি। তারা প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখেন- তার মেয়ে অরিত্রী নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে। তাকে শান্তিনগরের বাসা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।