অরিত্রীর চলে যাওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন - দৈনিকশিক্ষা

অরিত্রীর চলে যাওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অমিত রায় চৌধুরী |

নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রীর আত্মবিনাশী হওয়ার মর্মস্পশী ঘটনা গোটা দেশকে আলোড়িত করেছে। বেদনাকে ছাপিয়ে প্রবল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচ্ছন্ন শঙ্কা আর উদ্বেগ।

শোক ও সহানুভূতির ঢেউ আছড়ে পড়েছে পথে-প্রান্তরে, মাঠে-ঘাটে, অফিস-আদালতে, সমাজের প্রতিটি কোণে। ধনী-দরিদ্র, গ্রাম-শহর সবখানে। জনমানসের এমন সংবেদী, ন্যায়িক ও মানবিক প্রজ্বলন এ জনপদের অন্তর্গত সৌন্দর্য ও সামর্থ্যরেও প্রতীক।

ঘটনার নেপথ্যে ক্রিয়াশীল ন্যায়-অন্যায়ের আবহমান দ্বন্দ্ব অথবা নির্মোহ বিচারের নির্ণায়ক মাপকাঠি কিংবা মুনাফাতাড়িত সংস্কৃতি চেতনার শুদ্ধতার পরিসরকে কতটা সংকুচিত করেছে অথবা সর্বোপরি বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো গলদ থেকে যাচ্ছে কিনা- সবকিছুই নানাভাবে আলোচনায় এসেছে।
আত্মহত্যার মর্মান্তিক খবর আমাদের সামাজিক পরিসরে খুব একটা নতুন নয়। মানসিক বিষাদ, পারিবারিক অশান্তি, সামাজিক হতাশা, ব্যক্তিগত সম্পর্কে ছেদ, ঋণের দায় অথবা তাৎক্ষণিক কোনো অপমানবোধ থেকে এমন জীবনসংহারী প্রবণতার নজির আমাদের সমাজে বিদ্যমান। বয়ঃসন্ধিক্ষণে এমন ঘটনার সংখ্যাধিক্যের পেছনে শারীরবৃত্তীয় কারণও বিজ্ঞান সমর্থিত। ১৪-২৪ পর্যন্ত বয়সের কিশোর-তরুণরা এমন বিপদের মুখে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আধুনিক সমাজতত্ত্ব ও বিজ্ঞান এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টির পরিসর তৈরি করছে। তবে এ দেশের প্রেক্ষাপটে জেএসসি-এইচএসসি পর্যন্ত স্তরে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর শিশুদের এমন বিয়োগান্ত আত্মহননের ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সমীক্ষা বলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও এমন বিকার বিগত সময়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। সরকার থেকে সাধারণ নাগরিক- সবাই এমন হতাশাবোধ বা মানসিক অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু অরিত্রীর অকালমৃত্যু যেভাবে সমাজকে নাড়া দিয়েছে, তা লক্ষণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ এবং সমাজের ওপর এর অভিঘাত সুদূরপ্রসারী ও ব্যাপকতর বলে প্রতীয়মান হয়। অরিত্রীর এ আত্মহত্যা শুধুই কি মৃত্যু না একটি সম্ভাবনার অপরিপক্ব যবনিকা নাকি একটি যুগসন্ধিক্ষণে আরও গভীরতর কোনো বিপন্নতার প্রতীক- এমনই সব নানা প্রশ্ন ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।

একটি ফুটফুটে অপার সম্ভাবনাময় মেধাবী কিশোরীর অকালে ঝরে যাওয়া অতি সংবেদী এ সমাজে বাঁধভাঙা আবেগ সিঞ্চন করবে, সহপাঠীরা প্রতিবাদমুখর হবে, রাষ্ট্রযন্ত্র নড়েচড়ে বসবে- এটি অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু বিষয়টির তাৎপর্য বা গাম্ভীর্যের বিস্তৃতি সুদূরপ্রসারী। এ শোক শুধু বাৎসল্য স্নেহ কিংবা সঙ্গীর বিয়োগবেদনা থেকে নিঃসৃত নয়- এখানে নিহিত আছে সভ্যতার নতুন সংকটের অশনিসংকেত। সমাজে প্রবল হয়ে উঠছে বিত্ত, বৈভব, সামাজিক মর্যাদা অর্জনের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার শ্বাসরুদ্ধকর নেশা; যা বস্তুত মানবতাকে বিপন্ন করছে, আত্মকেন্দ্রিকতা বিচ্ছিন্নতাকে উসকে দিচ্ছে। ব্যক্তির স্বার্থনির্ভর একান্ত বৃত্তে মগ্নতা পারিবারিক বন্ধনকে শিথিল করছে। একাকিত্ব-হতাশা শিশুর স্বাভাবিক মনোজাগতিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রথম হওয়ার অস্থির দৌড়ে কেউ পেছনে পড়তে চায় না, ঊর্ধ্বতন আমলা থেকে সাধারণ অভিভাবক- সবাই এ লক্ষ্যে একাট্টা, বেপরোয়া। সন্তানকে শ্রেষ্ঠ হতেই হবে। শিক্ষকের একমাত্র উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠানকে ‘টপটেন’ নামক কর্পোরেট খাপে ব্র্যান্ড করা। পেছনে অপরিসীম বিত্ত সংগঠনের হাতছানি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক কেউই ছাড় দেয় না, ছাড় পাবে না। নৈতিকতা-মানবতা এখানে নিতান্তই গৌণ। আর এ সর্বভুক লালসার যূপকাষ্ঠে বলি হচ্ছে নিষ্পাপ শৈশব, কৈশোর।

৪ নভেম্বর, ২০১৮। শিক্ষাভবনে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালার অভিজ্ঞতার কথা বলি। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধন ও প্রণয়ন করা ছিল এ ওয়ার্কশপের লক্ষ্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগরীর নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও ঢাকা বোর্ডের কিছু কর্মকর্তাকে কর্মশালায় অংশ নিতে দেখেছি। আলোচনায় উঠে এসেছিল গ্রাম-শহর ভেদে শিক্ষায় বিনিয়োগের করুণ বৈষম্যের চিত্র। রাজধানীর নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায়যোগ্য ফি বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে কোয়ালিটি অ্যাডুকেশনের সঙ্গে বিত্তঘনিষ্ঠ যোগসূত্রের কথা জোরেশোরে উচ্চারণ করছিলেন। ঢাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্ঞাত আয়ের আকার, আলোচ্য ইস্যুতে শ্রেণীগত ঐকমত্য এবং তাদের বক্তব্যের সঙ্গে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের একাংশকে সহমত প্রকাশ করতে দেখে আমি রীতিমতো অবাক হই। আলোচনার এ পর্যায়ে আমি শিক্ষানীতির অন্তর্গত দর্শন অর্থাৎ বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করার নৈতিক দায়বদ্ধতা বা গ্রামকে আক্ষরিক অর্থে শহরে রূপান্তরের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরি।

আর মানসম্পন্ন শিক্ষা যেন হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা নগরকেন্দ্রিক একটি এলিট শ্রেণীর একচেটিয়া সম্পদে পরিণত হতে না পারে, সেদিকেও সমাজের দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করি। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে, কর্তৃপক্ষ হয়তো শহর ও মফস্বলের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য ও গ্রামীণ জনপদের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকারের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে আগ্রহী নন। ঢাকা বোর্ডের সম্মানিত কলেজ পরিদর্শক নগরকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান অনিয়ম এবং বিত্তনির্ভর শিক্ষাসেবার নৈতিকতা বিবর্জিত বাস্তব প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরেন। গ্রামের একটি মেধাবী ছেলেকে মহানগরীর কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কীভাবে ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয়েছে, তার মর্মান্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ বর্ণনা দিলে অংশগ্রহণকারী কোনো কোনো সদস্যকে বিব্রত হতে দেখেছি। তবে অরিত্রীর হৃদয়বিদারক অকালমৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক বা আর্থিক নৈরাজ্যের যে ক্ষত চিহ্নগুলো ধারাবাহিকভাবে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে তা আমাদের ধারণা বা আশঙ্কা থেকেও বৃহত্তর স্খলনের ইঙ্গিত প্রদান করে।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে যে সংস্কার ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা যে কোনো মানদণ্ডে যুগান্তকারী। তবে এ কথা অনস্বীকার্য, এর পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগতির কিছু সুফল- যেমন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, মানুষের বর্ধিত সামর্থ্য, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের সুযোগ। এ কথাও গুরুত্বপূর্ণ, প্রায় সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষকে নিয়ে গঠিত এ দেশের শিক্ষা পরিবারকে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা অবশ্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমজনতার সামর্থ্য বেড়েছে এটি যেমন সত্যি, ধন বৈষম্যের অনুপাতও উপেক্ষা করার নয়। বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশের ধনী মানুষের ধনী হওয়ার হার এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। দেশের সব ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস-আদালত, বাণিজ্য-বিপণি এমনকি শিল্প-কলকারখানা সবকিছুই রাজধানীতেই গড়ে উঠছে। দেশের সব সামর্থ্যবান মানুষই চান তার সন্তান ভিকারুননিসার মতো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করুক। মানসম্মত শিক্ষা বা উন্নত পরিবেশ এ ধরনের মানসিকতা সৃষ্টিতে আংশিক ভূমিকাও হয়তো পালন করে, তবে অভিভাবক থেকে নীতিনির্ধারক পর্যন্ত সবারই এ ধরনের ব্যবস্থার প্রতি মনোজাগতিক পক্ষপাত অথবা পূর্বনির্ধারিত ধারণা দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে রাজধানীমুখী করে। ফলে প্রতিযোগিতা শুধু বৃদ্ধি পায় তা নয়, শিক্ষাসেবার ক্ষেত্রটি অসুস্থ প্রবৃত্তি পরিচর্যার উর্বর চারণভূমিতে পরিণত হয়।

আরও একটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে- অরিত্রীর বেদনাদায়ক মৃত্যুর দায় শুধু শিক্ষকের নয়, অভিভাবক কিংবা সমাজ- কেউই এর দায়িত্ব এড়াতে পারে না। এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। তবে এ ঘটনা হতে উদ্ভূত ধোঁয়াশায় বিদায় করা কোনো অসুখ যাতে সমাজমনের কোনো কোণে বাসা না বাঁধে, সে বিষয়েও আমাদের সজাগ থাকতে হবে। গত দু’দশকজুড়ে পরীক্ষা কেন্দ্র যেভাবে নকলমুক্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের অনেক অর্জনের মধ্যে এটিও একটি সাফল্যের উজ্জ্বল মাইলফলক। প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহের উৎসবমুখর দৃশ্য আমাদের খানিকটা হলেও অতীতচারী করে তুলেছে। এমন অতীত যেন আর ফিরে না আসে অথবা এই অনভিপ্রেত ঘটনার সূত্র ধরে কোনোভাবে যেন শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মাঝে কোনো ভুলবার্তা পৌঁছে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। মহাকালের পরিক্রমায় একজন অভিমানী কিশোরীর চলে যাওয়া মানব সভ্যতার নিরন্তর যাত্রাপথে কোনো চিহ্ন রেখে যায় কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। তবে অরিত্রীর শেষযাত্রা গোটা সমাজকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গেল- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বিশ্বাস করি, সময়ের অনন্ত প্রবাহে অসুন্দরকে ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সুন্দরের জয় হয়, কালো অপসৃত হয় আলোরই উচ্ছ্বাসে।

 

লেখক: সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ

সৌজন্যে: যুগান্তর

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0089209079742432