অর্থ আত্মসাৎ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে পাবনার সদ্য সরকারি সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় দেবনাথকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। বরখাস্তের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে পরপর দুটি অর্থ ও নিরীক্ষা কমিটির যাচাই-বাছাই এ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক বিনা রশিদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন, পরীক্ষার ফিসহ অন্যান্য খাতে যে অর্থ আদায় করেন তা ব্যাংকে জমা দেন না।
দৈনন্দিন আয়-ব্যয়ের রেজিস্টার ও মাদার ক্যাশ বই দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। নানাবিধ খরচের বিল ভাউচারে রয়েছে ব্যাপক গরমিল। গত একবছরে শিক্ষকদের বেতনভাতা ও ঈদ বোনাস দেননি। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিনি অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে থাকেন।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে তার প্রশাসনিক দুর্বলতা, নানা অনিয়ম, অদক্ষতা ও শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের ক্রমাবনতি হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ নভেম্বর প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করে এবং ১৭ নভেম্বরের মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব বুঝে দিতে বলা হলেও অদ্যাবধি প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে চলেছেন। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগের বিয়ষটি তদন্ত করেন।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসারকে ৩ জানুয়ারি উমাশিঅ/সাঁঃপাব/ ২০১৮/২৬২ স্মারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসক পাবনাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বিজয় দেবনাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও সাহেব যা করেছেন ভালোই করেছেন তবে আমি শেষ পর্যন্ত মোকবিলা করে যাব।