ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় জাল জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় চেঁচরী রামপুর এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসানকে (৪০) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার (৬ মে) জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম আদালতের জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক সেলিম রেজা তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২০ ফ্রেরুয়ারি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চেঁচরী রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন ফরাজী বাদী হয়ে আদালতে একটি নালিশি মামলা করেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কাঠালিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১৪ মার্চ প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের নামে লক্ষাধিক টাকা নেন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ২ জুলাই ও ৮ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে ভাউচার বিহীন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮ শত ৬৩ টাকা গ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও জনৈক ননী গোপাল বড়াল এর কাছ থেকে চাকরির নামে ছয় লাখ টাকা গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন ফরাজীর স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে তাকে চাকরি দেন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে বার্ষিক অডিটের নামে বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষক-কর্মচারির বেতনের ২ লাখ ৪২ হাজার ৭শত ৯৩ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়াও একই বছর কয়েকটি বই প্রকাশনীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে তাদের অবৈধ গাইড বই ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করেন।