অশ্লীল বই পড়ানোর অভিযোগে ডিপিএস অধ্যক্ষকে হাইকোর্টে তলব - দৈনিকশিক্ষা

আদালত অবমাননার রুল জারিঅশ্লীল বই পড়ানোর অভিযোগে ডিপিএস অধ্যক্ষকে হাইকোর্টে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ভারতের জাতীয় সংগীত জন গণ মন, জাতীয় ফল আম, জাতীয় পশু বাঘ, জাতীয় ফুল পদ্ম, জাতীয় পাখি ময়ুর, জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী। এসব কিছুই পড়ানো হচ্ছে বাংলাদেশের একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে। শুধুই এসব নয়, ভারতের বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবস, বিভিন্ন প্রদেশের নাম ও রাজধানীর নাম, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের নাম মেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। এসবের পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় লেখা বইও পড়ানো হচ্ছে।

এসব পড়ানো হচ্ছে উত্তরায় অবস্থিত ডিপিএস-এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। এ কারণে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হর্ষ ওয়ালকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৩ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি সংস্কৃতির চর্চা ও অশ্লীল পাঠ্যপুস্তক পড়ানোয় তাকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে। দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা না করায় আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাকদের মধ্যে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, শফিউল আযমসহ ১৫ জন অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।

রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। ডিপিএস-এসটিএস স্কুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত। 

আদেশের পর ব্যারিস্টার অনিক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বাংলাদেশে থাকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসসমূহ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী রবীন্দ্র-নজরুল, বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতায় আত্মদানকারীদের জীবনী নিয়ে অনুষ্ঠান করা এবং বাংলা ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই রায় অমান্য করে উত্তরার ডিপিএস-এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চা ও ভারতীয় বিভিন্ন দিবস, ব্যক্তি সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছে।

এ ছাড়া স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির বই অশ্লীলতায় ভরা (প্রকাশ অযোগ্য)। যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসার পর ১৫ জন অভিভাবক অধ্যক্ষকে আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু নোটিশের জবাব দেননি তিনি। এ কারণে অভিভাবকরা রিট আবেদন করেন। 

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070428848266602