অসহিষ্ণুতার কবলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় - দৈনিকশিক্ষা

অসহিষ্ণুতার কবলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দুই মাসের বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দৃশ্যমান’ একটি আন্দোলন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুসংখ্যক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী এই দৃশ্যমান আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলার জন্য দৃশ্যমান এই আন্দোলনের পশ্চাতে কিংবা আড়ালে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বেশ কয়েকটি দলভুক্ত ফলপ্রত্যাশীরা। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

অনেকে ‘দৃশ্যমান’ এই একটি আন্দোলনের ভেতর বেশ কয়েকটি স্বার্থসংশ্লিষ্ট তো বটেই তথাকথিত ‘অংশীজন’ গোষ্ঠীর অস্তিত্ব খুঁজে পান। তাই আন্দোলনটির পশ্চাতে জনসমর্থন অত্যল্প হলেও মাত্রাগত দিক থেকে আন্দোলনটি বহুমাত্রিক। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে দৃশ্যত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সরল ও সহজবোধ্য আন্দোলনের শুরু হয়েছিল।

আর পর্যায়ক্রমে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পকে নস্যাৎ করার মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টায় বিভিন্ন বলয়ের অংশীজন ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর এক ‘অদৃশ্য’ সক্রিয়তা যুক্ত হয়েছে! তাই প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা থেকে শেষ মুহূর্তে আন্দোলনটির তরী এসে ভিড়েছে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে। অনেকেই মনে করেন প্রকৃতপক্ষে নেপথ্যে থাকা অদৃশ্য আন্দোলনকারীরা এই দাবিটিকেই প্রধান করে আন্দোলনে মদদ দিয়েছিলেন।

প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ আন্দোলনের অজুহাত ছিল মাত্র। অর্থাৎ আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে উপাচার্যের পদত্যাগই ছিল মুখ্য বিষয়- প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রভৃতি আসলে ছিল পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তোলার নিয়ামক মাত্র। লক্ষ করলে দেখা যাবে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানাভাবে সমগ্র দেশেই একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রয়াস বিদ্যমান। এসব প্রয়াসের পশ্চাতে বড় কোনো অদৃশ্য শক্তির অপতৎপরতা ও ইন্ধন আছে কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানের বিষয় হতে পারে।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে উপাচার্যকে পদত্যাগের সময়ক্ষণ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। আন্দোলনকারীদের এই দাবিকেই অনেকে ‘থলের বেড়াল’ আখ্যা দিয়েছেন। থলের বেড়াল বের হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তো বটেই দেশের সাধারণ মানুষও এখন বুঝতে পারছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলনটি বিগত দুই মাসে দৃশ্যমান হলেও নেপথ্যের ঘটনা প্রায় দেড় থেকে দুই বছর আগেকার। যখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুপারিশে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. আবদুল হামিদ অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করেন।

দেশবাসীর মনে থাকার কথা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবারই নিশ্চয়ই মনে আছে যে, দ্বিতীয় মেয়াদে ড. ফারজানা ইসলামকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়া হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশকে চ্যালেঞ্জ ও বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েকজন শিক্ষক। ড. ফরজানা ইসলাম বাংলাদেশে প্রথম নারী উপাচার্য। সুতরাং এ কথা তো বলাই যায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষক হিসেবে তিনি সফল। প্রথম মেয়াদে তিনি যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গেই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ‘১৯৭৩ সালের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট’ অনুযায়ী তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য উপাচার্য নিযুক্ত করেন। ড. ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা একনেক থেকে পাস হয়। এটিও ড. ফারজানার একটি অনন্য সাফল্য। কিন্তু একে তো নারী, দ্বিতীয়ত সাফল্যের পর সাফল্য! এ তো সহ্য করা যায় না! তাই শুরু হয় দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে ব্যর্থ প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা। ড. ফারজানাকে উপাচার্যের পদ থেকে সরাতেই হবে। তাই একদিকে দৃশ্যত রিট মামলার মাধ্যমে আইনি লড়াই এবং অন্যদিকে অদৃশ্যত নানা পন্থার অবলম্বন। একাডেমিক, প্রশাসনিক কিংবা আবাসিক ভবন বা স্থাপনাবিষয়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে ক্যাম্পাসের কিছু গাছ কাটা যাবে। এটিই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে কোনো স্থানে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় এই একই চিত্রের সাক্ষাৎ ঘটে। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিকভাবেই যেহেতু প্রতি বছর হাজার হাজার নতুন নতুন গাছের চারা রোপণ করা হয় সেখানে এই বাস্তবতা আরো প্রকট সন্দেহ নেই।

যা হোক, প্রথমত গাছ কাটা বন্ধ করা নিয়ে আন্দোলন শুরু- প্রস্তাবিত আবাসিক হল নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনের শুরু। এসবের মধ্য দিয়েই আকাশে-বাতাসে রটিয়ে দেয়া হলো ‘উপাচার্যের বাসভবন’ থেকে ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে দুই কোটি টাকা বিতরণের গল্প! টাকা বিতরণের গল্পটি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উজ্জীবিত করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক শোভন ও রাব্বানীকে পদচ্যুত করার পর থেকে। গল্পটি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উজ্জীবিতই শুধু নয় একেবারে যুদ্ধংদেহীও করে তুলেছিল বলা যায়। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে টাকা বিতরণের স্থান-কাল পরিবর্তিত হতে থাকলে অনেকের কাছে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে সন্দেহের নানা ডালপালা মেলতে থাকে। টাকা বিতরণ গল্পের প্লট কেবল ‘শোনা কথা’র ওপর ভিত্তি করে রচিত। আর ‘বানানো’ ফোনালাপও সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যমে আন্দোলনের পক্ষে একটি অনন্য মাত্রা হিসেবে কাজ করে।

প্রায় দুই মাসের অধিককাল আগে- আন্দোলন শুরুর প্রথম দিকে শোনা গিয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা থেকে ‘উপাচার্যের বাসভবনে’ দুই কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। মূলত আন্দোলনের শুরু এখান থেকে। আর পেছনে ছিল প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার প্রসঙ্গ। ছিল নির্মিতব্য হলের স্থান নির্বাচন জটিলতা ইত্যাদি ইত্যাদি। ‘উপচার্যের বাসভবনে’ দুই কোটি টাকা লেনদেনের মতো বিষয় যে কোনো গণমাধ্যমের জন্য ‘সংবাদ’ হিসেবে চমৎকার একটি উপাত্ত! শুধু চমৎকারই নয়, একেবারে আকর্ষণীয়ও বটে। তাই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সংবাদ হিসেবে একে লোভনীয়ভাবে গ্রহণ করেছিল। শুধু ‘সংবাদ’ হিসেবেই নয়- ঘটনা সত্যি না হলেও কল্পিত ঘটনার সঙ্গে যেহেতু ‘শিক্ষক’ তথা উপাচার্য সম্পৃক্ত এবং সেই সঙ্গে সম্পৃক্ত ‘ছাত্রলীগ’ সুতরাং ‘টকশো’রও এক অনবদ্য আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়ে গেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

আগেই বলেছি সময়ের ব্যবধানে বিগত দুই মাসে টাকা লেনদেনের স্থান ও কাল পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। সাধারণ নাগরিকদের বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার। দুই মাস আগে যা ছিল ‘উপাচার্যের বাসভবন’ ক্রমে তা স্থান পরিবর্তন করে হয়ে গেল ‘একটি কালো গাড়ি এবং কোনো একটি আবাসিক হল’। অর্থাৎ একটি কালো গাড়িতে করে টাকা নিয়ে কোনো একটি আবাসিক হলে পৌঁছে দেয়ার গল্প বাজারজাত করা হয়। এসব ঘটনার সঙ্গে ‘কালো গাড়ি’র ব্যবহার বেশ মানায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি ‘উপাচার্যের বাসভবন’ আর টাকা বিতরণের স্থান হিসেবে রইল না।

কিন্তু গণমাধ্যম এতটাই মারিয়া হয়ে উঠল যে, দুই কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনা ঘটাতেই হবে। শেষ পর্যন্ত ‘উপাচার্যের বাসভবন’ থেকে দুই কোটি টাকার লেনদেনের ঘটনা গিয়ে গড়াল একটি ‘কালো গাড়ি ও আবাসিক হল’ পর্যন্ত! এখানেই শেষ নয়। টাকা লেনদেনের সেই কল্পিত ঘটনা বর্তমানে ‘উপাচার্যের মধ্যস্থতায়’ নামক দুটি শব্দের মধ্যে এসে ঊর্ধ্ব-কমায় আটকে গেছে! তবু আন্দোলন চলছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণ তথা অনুসন্ধানী সংবাদ উদঘাটনও জাতি দেখতে পেল না, এটাও কম দুর্ভাগ্যের নয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার বলার চেষ্টা করলেও গণমাধ্যমের পালে সেই হাওয়া আসতেই পারল না যে, বর্ণিত প্রকল্পের স্থপতি সংস্থার নকশা প্রণয়নের বিল এবং প্রকল্পের গাড়ি ক্রয় ছাড়া কোনো টাকাই ছাড়করণ হয়নি। যে প্রকল্পের কোনো টাকাই ছাড়করণ হয়নি সেখান থেকে দুই কোটি টাকা লেনদেনের কল্পিত ঘটনা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের দৃশ্যমান রূপ হলেও কেউ কেউ এর ভেতর ‘অনেক কিছু’ খোঁজার প্রয়াস পান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, স্থপতি সংস্থার নকশা প্রণয়নের বিল এবং প্রকল্পের একটি গাড়ি ক্রয় ছাড়া অদ্যাবধি কোনো টাকাই ছাড়করণ হয়নি।

আর আন্দোলনকারীরা বলছেন দুই কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের আরো কিছু অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন। আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম অভিযোগের বিষয়ে মহামান্য আচার্য যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মহামান্য আচার্যের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ধৈর্য ধারণ করবেন, এটিও ছিল সবার প্রত্যাশিত। কিন্তু সহিষ্ণু মনোভাব না দেখিয়ে, আচার্যের আদেশের অপেক্ষা না করে আন্দোলনকে সর্বাত্মক অসহযোগিতার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ভবনের গেটে। আচার্যের কাছে নালিশ দেয়ার পর যৌক্তিক সময়ের আগেই এরূপ চরমপন্থা গ্রহণ কতটুকু সঙ্গত তা সহিষ্ণু মনোভাব নিয়ে নেতৃস্থানীয়দের ভেবে দেখার আহ্বান জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে এই সহিষ্ণুতাটুকু জাতি প্রত্যাশা করে। শিক্ষকরাই যদি অল্পতে এরূপ চরম অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন তবে এ হতভাগ্য জাতি কোনো পেশাজীবীদের কাছে আর কী প্রত্যাশা করবে? যে কোনো ইস্যুতে ইচ্ছা করলেই পাঁচ-দশজন মিলে প্রথমে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে পরে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও এবং তার দুদিন পরে একটি অনশন কর্মসূচি দিয়ে সব কিছু স্থবির করে দেয়া আন্দোলনের পুরনো অপসংস্কৃতি থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত রাখা সবার ব্রত হোক।

লেখক: আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিজির রুটিন দায়িত্ব, জিয়া পরিষদ সদস্যদের পোয়াবারো! - dainik shiksha শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিজির রুটিন দায়িত্ব, জিয়া পরিষদ সদস্যদের পোয়াবারো! জাল সনদে শিক্ষকের একযুগ চাকরির অভিযোগ - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকের একযুগ চাকরির অভিযোগ ‘পুরো মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা উদযাপন করবে’ - dainik shiksha ‘পুরো মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা উদযাপন করবে’ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0083780288696289