সাম্প্রদায়িক ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রণীত পাঠ্যপুস্তক পরবির্তন এবং শিক্ষার সব স্তরের বেসরকারিকরণ-বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণে এ কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন, এমন একটি পাঠ্যপুস্তক দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যেখানে হেফাজত, জামায়াত ও ওলামা লীগ দাবি তুলতে পারে অমুসলিম লেখকদের লেখা থাকবে না। ভোটের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ করে এই খেলা শুরু হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল সব লেখকদের লেখা কবিতা-গল্প বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই সাম্প্রদায়িক চেতনা সৃষ্টি করে সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।
বক্তারা আরও বলেন, পাঠ্যপুস্তুক থেকে প্রগতিশীল লেখকদের ২৭টি গল্প ও কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আগামী বছর জামায়াত ও হেফাজতী প্রেসক্রিপশনমূলক শিক্ষাব্যবস্থা বাতিল না হলে সারা দেশে ছাত্রসমাজ ধর্মঘট করতে বাধ্য হবে।
সরকার মৌলবাদীদের কাছে নতজানু হয়ে আলোকিত মানুষের লেখা বাদ দিয়েছে উল্লেখ করে বক্তরা আরও বলেন, পাঠ্যপুস্তক সংশোধনী কমিটির কোনো সুপারিশ সরকার আমলে নেয়নি। লোক দেখানো কমিটি করা হয়েছে। সরকার তার ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য সাম্প্রদায়িকতার কার্ড নিয়ে খেলছে।
সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে উদীচীর সভাপতি ড. শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে আমরা শিক্ষাব্যবস্থা চাই। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় সামাজ বদল ও বৈজ্ঞানিক চিন্তা-চেতনা নেই। শিক্ষা ব্যবস্থায় মানবিকতার দরকার, সাম্প্রদায়িকতার নয়। যতদিন শিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্প্রদায়িকতা ও বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ না হবে আমাদের আন্দোলন ততদিন চলবে।
এ সময় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখানে ছাত্রমৈত্রীর সদস্য সাদেকুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন প্রমুখ।