পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন তিন মাদরাসাকে অনুদান পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দেয়া অনুদানের তালিকায় চাঁদকাঠি কাসিমুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদরাসা, লতিফুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদরাসা ও দারুল কোরান ওয়াস সুন্নাত কওমি মাদরাসা নাম পাওয়া গেছে। বাস্তবে এ মাদরাসাগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কওমিয়া মাদরাসা সংগঠন বেফাকুল মাদারেসিল আরাবিয়ার (বেফাক) উপজেলা শাখার লোকজনসহ উপজেলার একাধিক কওমিয়া ও হাফিজিয়া মাদরাসা প্রধানদের কাছে খোঁজ নিয়ে ওই সব নামে কোনো মাদরাসার সন্ধান মেলেনি।
জানা গেছে, কওমি মাদরাসার এতিম ও দুস্থ শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে টাকা বরাদ্দ দেয়ার বিষয় উল্লেখ করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা থেকে গত ২৬ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো একটি পত্রে উপজেলার ১৩টি কওমি মাদরাসার (নাম ও বিভাজন উলেখসহ) অনুকূলে বরাদ্দকৃত টাকা পরবর্তী তিন কার্য দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চেক প্রদান এবং চেক প্রাপ্তির বিষয় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বেফাকের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মদনপুরা জামিয়া কোরানিয়া হাফিজিয়া কওমিয়া মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা আবদুল কুদ্দুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে কওমি মাদরাসায় অনুদান দেয়ার কথা শুনেছি। তবে কারা ওই অনুদান পেয়েছেন তা আমার জানা নেই। আর চাঁদকাঠি কাসিমুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদরাসা, লতিফুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদরাসা কিংবা দারুল কোরান ওয়াস সুন্নাত কওমি মাদরাসা নামে উপজেলায় কোনো কওমিয়া মাদরাসার কথাও আমার জানা নেই।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ওই তিন মাদরাসার চেক এখনো বিতরণ করা হয়নি। যাচাই বাছাই করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অনুদান বরাদ্দ নেয়ার সুযোগ নেই। আমার দপ্তর থেকে কোনো তালিকা দেয়া হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’