জীবনকে নিয়মমাফিক পরিচালনার জন্য নূ্যনতম গণিতের জ্ঞান অপরিহার্য। অল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত যারা, তারাও গুনতে জানে। গণিত ছাড়া কোনো মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। গণিতের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানব সভ্যতার উন্নতি হয়েছে। আমাদের চারপাশের যা কিছু নান্দনিক, সৌন্দর্যময় তার অন্তরালে রয়েছে গণিতের যুক্তিগুলোর সঠিক প্রয়োগ। অর্থাৎ, মানুষের জীবনের সর্বত্রই রয়েছে গণিত।
এ কথাকে মাথায় রেখে গত ২৬ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ১৪ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাই (শ্চ) দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। তবে এ বছর থেকে এই দিনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালন করা হবে। গতকাল শুক্রবার ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালন করা হয়। তবে আজ শনিবার বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এ দিবস পালন করা হবে। এ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- গণিত সর্বত্র।
বাংলাদেশ গণিত সমিতি দিবসটি পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। সমিতির তত্ত্বাবধানে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য গণিতের গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সচেতন করে তোলা। এ জন্য 'গণিত সর্বত্রই বিদ্যমান' শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। সেমিনারে ছয়টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন দেশের সেরা ছয় গণিতবিদ। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য গণিত প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও পুরস্কার দেওয়া হবে।
সকাল সাড়ে ৯টায় সেমিনারের উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের উপ-রাষ্ট্রদূত ফ্র্যাঙ্ক গ্রাটজম্যাচার টকুর্ট। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সম্পাদক মুনির হাসান। গণিত দিবসের অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ গণিত সমিতির সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম।