আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যসব দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও এফএও এর উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১৬ অক্টোবর বিশ্বের অন্যসব দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বসহকারে পালিত হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, পুষ্টিকর খাদ্যেই হবে আকাঙ্খিত ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী।’
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে নজর দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আরও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সকাল ১০টায় নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করেছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দিবসটি সামনে রেখে আগামীকাল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ দিবস উপলক্ষে ঢাকা ছাড়াও দেশের জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠান, স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার, মাসিক কৃষি কথার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার প্রকাশনা ও বিতরণ, মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।