আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা মেডিক্যালের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আমানউল্লাহ মোহাম্মদ আসাদ। দিবসটি উপলক্ষে নরসিংদীর বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভাতফেরি, শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এ ছাড়া সকাল ৮টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি প্রভাতফেরি বের হয়ে ঢাকা মেডিক্যালের সামনে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে আসাদের স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর আলোচনাসভা হবে বলে জানিয়েছেন শহীদ আসাদ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান মিলন।
আসাদের জন্ম ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১০ জুন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে। নরসিংদী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের অহংকার শহীদ আসাদ। তাঁর বীরত্বগাথা ইতিহাস সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে তরুণ প্রজন্মের কাছে। তাই আমাদের সবার দাবি, শহীদ আসাদের জীবনীসহ তাঁর পুরো ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করা হোক।’
মাছিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হারিছ রিকাবদার (কালা মিয়া) বলেন, ‘শহীদ আসাদ আমাদের এলাকার সন্তান। এটা আমাদের গর্ব। গণ-অভ্যুত্থানে আসাদের আত্মত্যাগের পথ ধরেই আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের পথ সুগম হয়েছিল। কিন্তু আসাদ দিবসে শুধু তাঁর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ আর আলোচনাসভা হয়, যা তাঁর অবদানের তুলনায় নগণ্য।’
শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘শহীদ আসাদকে ভুলে যেতে বসেছে আমাদের প্রজন্ম। আমাদের কলেজটি শহীদ আসাদের নামে নামকরণ হয়েছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আসাদের বাড়ি কোথায়, আসাদ কে, কী তাঁর অবদান—কিছুই জানে না। এটা আমাদের জন্য লজ্জার।’
শহীদ আসাদ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান মিলন বলেন, ‘আসাদ দিবসেই শুধু আসাদকে কেন্দ্র করে কিছু আলোচনা হয়। এতে নতুন প্রজন্মের কাছে আসাদ এক অপরিচিত ব্যক্তি। কিন্তু যাদের কারণে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ, আসাদ তাদের একজন। তাই এবারের আসাদ দিবসে আমাদের মূল দাবি, তাঁর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’
শহীদ আসাদের বড় ভাই প্রকৌশলী এফ এম রশীদুজ্জামান বলেন, ‘এমন উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে আসাদকে সবাই সব সময় স্মরণ করে।’