আট বিভাগীয় শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ পুলিশের - দৈনিকশিক্ষা

আট বিভাগীয় শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার উদ্যোগ পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সন্তানের পড়ালেখার জন্য ঢাকার বাইরের অনেক শহরে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় অনেক পুলিশ সদস্যের ঢাকামুখী হওয়ার প্রবণতা আছে। ঢাকার বাইরে থাকলে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য কেউ কেউ তদবির করেন। আবার অনেকে ঢাকা থেকে বদলি হলে সন্তানের লেখাপড়ায় বিড়ম্বনার কথা বলে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। আবার কোনো পুলিশ সদস্য ঢাকার বাইরে থাকলেও সন্তানের লেখাপড়ার জন্য পরিবার ঢাকায় রাখেন।  

সন্তানের লেখাপড়া-সংক্রান্ত জটিলতা থেকে বদলির ব্যাপারে বিড়ম্বনা দূর করতে আটটি বিভাগীয় শহরে ভালোমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ পরিবারের সন্তানের বাইরেও অন্যান্য শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট অনুপাতে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগ পাবে। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ দেশের সব বিভাগীয় শহরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও মানসম্মত স্কুল এবং কলেজ প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আইজিপির দিকনির্দেশনায় পুলিশ সদর দপ্তরের এডুকেশন শাখা সারাদেশে পুলিশের সব ইউনিটে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে উঠে আসে, আটটি বিভাগীয় শহরে প্রস্তাবিত আধুনিক মানসম্পন্ন রেসিডেন্সিয়াল (আবাসিক) প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে সেখানে ৯০ শতাংশ পুলিশ সদস্য তাদের সন্তানদের পড়াশোনা করাতে আগ্রহী। জরিপের সার্বিক ফল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির সার্বিক বিষয় আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরার কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ পুলিশ সদর দপ্তরে যাবেন।

অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) এসএম রুহুল আমিন বলেন, ঢাকার বাইরে অনেক জায়গায় ভালো স্কুল না থাকায় পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের লেখাপড়ায় সমস্যা তৈরি হয়। বদলি হলেও কেউ কেউ সন্তানের কথা বিবেচনায় ঢাকার বাইরে যেতে চান না। আবার অনেক সময় ঘন ঘন বদলি হওয়ায় সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে মা-বাবার দুঃশ্চিন্তা হয়। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ভালো স্কুল হলে এটা সার্বিকভাবে ওই এলাকার জন্য মঙ্গল। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু পুলিশ পরিবারের সন্তানরাই পড়বে না। জরিপে আমরা দেখেছি, অধিকাংশ সদস্য মতামত দিয়েছেন তাদের সন্তানদের বিভাগীয় শহরগুলোয় মানসম্মত আধুনিক স্কুলে পড়াতে আগ্রহী। আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে তারাও একমত পোষণ করেছেন।

এআইজি (এডুকেশন) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই লাখ ২ হাজার ৩২০ পুলিশ সদস্যের মধ্যে জরিপে এক লাখ ৩৮ হাজার ৩১৫ জন অংশ নেন। এই সংখ্যা পুলিশের মোট সদস্যের প্রায় ৬৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জরিপে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার এক লাখ ২৯ হাজার ৬১৭ জন অংশ নেন, যা জরিপে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যের ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামকে বেশি পছন্দ পুলিশ সদস্যদের। তাদের ২২ শতাংশ ঢাকায় এবং ২১ শতাংশ সদস্য সন্তানদের চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে চান। তাদের সবচেয়ে কম পছন্দ সিলেট বিভাগ (৪ শতাংশ)।

৫ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তরে একটি সভা হয়। সেই সভার নির্দেশনা অনুসরণ করে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) এবং সংশ্নিষ্ট রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটন কমিশনারদের সঙ্গে

সমন্বয় ও সহায়তাপূর্বক জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

প্রস্তাবিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা সন্তানদের ভর্তি করাতে আগ্রহী, তাদের মধ্যে এসপি থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা রয়েছেন ৩৬০ জন (৭৯ শতাংশ), পরিদর্শক থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চার হাজার ৮৫৬ জন (৮৩ শতাংশ), কনস্টেবল থেকে এসআই রয়েছেন এক লাখ ১৭ হাজার ২০২ জন (৯০ শতাংশ) এবং সিভিল স্টাফ রয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন (৮১ শতাংশ)।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, সম্ভাব্য শিক্ষার্থী হতে পারে এক লাখ ৩৬ হাজার ১২৫ জন। এর মধ্যে বর্তমান শিক্ষার্থী আছে ৮২ হাজার ৯৮১ জন। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থী হতে পারে ৫৩ হাজার ১৪৪ জন। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা ৭৪ হাজার ৮৪ জন শিক্ষার মাধ্যম নিয়ে মতামত দিয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ তাদের সন্তানদের বাংলা মাধ্যমে, ২৪ শতাংশ ইংরেজি মাধ্যমে, ৯ শতাংশ মাদ্রাসায় এবং ভোকেশনাল এডুকেশনে এক শতাংশ সন্তানদের পড়াতে চান। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৮৪ জন আবাসন ব্যবস্থা রাখা বা না রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৮ হাজার ৬২১ জন (৬৬ শতাংশ) ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ের জন্যই আবাসিক সুবিধা রাখার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। ঢাকা বিভাগ থেকে ৩৪, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৭, রংপুরে ৭, খুলনায় ১২, রাজশাহীতে ১১, বরিশালে ৭, ময়মনসিংহে ৬ এবং সিলেটে ৬ শতাংশ সদস্য মতামত দিয়েছেন। ইউনিটওয়ারী নমুনা সংগ্রহের দিক ঢাকা রেঞ্জ থেকে ৫২.৩, মহানগর পুলিশে ২৪.১, এপিবিএন ৫.৯, এসবি ৩.৩, হাইওয়ে পুলিশের ২.১, শিল্প পুলিশে ২, সিআইডিতে ১.৬, রেলওয়েতে ১.৫ এবং নৌপুলিশে ১.২ শতাংশ সদস্যের মতামত নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0085561275482178