আদালত থেকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় থাকলেও একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষককে গত দেড় বছরেও যোগ দিতে দেয়া হয়নি। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার নাগাইশ জাহিদুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সোলায়মান আলী চাকরি ফিরে না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
মো. সোলায়মান আলী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ নভেম্বর জাহিদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী ইংরেজি শিক্ষক পদে যোগ দেন তিনি। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ এনে এক বছরের মাথায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। পরে তিনি প্রতিকার চেয়ে কুমিল্লা জেলা আদালতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আদালত ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ সেপ্টেম্বর সোলায়মানের পক্ষে রায় দেন। বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে সোলায়মান আলীর প্রাপ্য এমপিওর ৫০ হাজার ২০০ টাকা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আদেশ দেন আদালত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনও তাকে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে দেয়নি।
আদালত ৬০ দিনের সময় দেন বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য। কিন্তু বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তোমার রায় সঠিক নয়। তোমাকে বিদ্যালয়ে যোগদান করাতে পারব না, এটা সভাপতির নির্দেশ।