আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ)। ডোপিংয়ে পৃষ্ঠপোষকতার কারণে আগামী চার বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে সকল প্রতিযোগিতা থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ডব্লিউএডিএ) কার্যনির্বাহী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর ফলে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে টোকিও অলিম্পিক এবং ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া।
তবে, যে সব অ্যাথলেটরা ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িত নন এমন প্রমাণ দিতে পারলে নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবে।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে তদন্তে ডোপিংয়ের নমুনা নিয়ে কারসাজির অভিযোগ ওঠে রাশিয়ার বিপক্ষে। এরপরই আজ সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় ডব্লিউএডিএ। অবশ্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ইউরো কাপে অংশ নিতে পারবে রাশিয়া। কারণ ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ) আন্তর্জাতিক বড় আসর হিসেবে ইউরো কাপকে বিবেচনা করা হয় না।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার ২১ দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করতে রাশিয়া। এ আবেদন করলে তা চলে যাবে কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসের (সিএএস) কাছে।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে দেশ হিসেবে অ্যাথলেটিকসে নিষিদ্ধ রয়েছে রাশিয়া। আর ডোপিংয়ের কারণে নিষেধাজ্ঞার পর ২০১৮ অলিম্পিকে ১৬৮ জন রাশিয়ান অ্যাথলেট নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।