গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ১২তম দিনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইতিহাস বিভাগের চারশতাধিক শিক্ষার্থী বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তাদের স্লোগানে ধ্বনিত হয় পুরো ক্যাম্পাস। পাশাপাশি শেখ হাসিনা কৃষি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও ল্যাব রুম, শিক্ষক সংকট নিরসন এবং স্থায়ী বিভাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। আর জয় বাংলা চত্বরে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনকালে শিক্ষার্থীরা জানান, ইতিহাস বিভাগের একটানা আন্দোলনে তারা ক্লাস ও সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষায় বসতে পারছেন না। তাছাড়া সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রয়েছে। অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে তারা আহবান জানান ।
আর ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিভাগ অনুমোদনের যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন এবং অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নুরুদ্দীন আহমেদ বলেন, আন্দোলনের ফলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ কারো সাথেই আমরা দাপ্তরিক যোগাযোগ করতে পারছি না। এমনকি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সংক্রান্ত কাজও আটকে আছে। এভাবে চলতে থাকলে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী হয়তো বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান বলেন, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসিতে একটি মিটিং হবে। সেখানে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি বন্ধসহ বিভাগের অনুমোদন না দেওয়ায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওই দিন রাত থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ রেহানা, শেখ রাসেল এবং স্বাধীনতা দিবস হলে পরিচালনা পর্ষদের অবহেলার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাদ্য সরবরাহ ৫ দিন বন্ধ রয়েছে।