আপত্তির পরও বাড়ল মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মেয়াদ - দৈনিকশিক্ষা

আপত্তির পরও বাড়ল মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মেয়াদ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দেশের ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ নিরক্ষর। তাদের সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে ২০১৪ সালে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয়েছিল মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)। দু'দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে চরম হতাশ সংসদীয় কমিটি ও আইএমইডি (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ)। তারা এই প্রকল্পকে 'ব্যর্থ' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংসদীয় কমিটি এই প্রকল্পের মেয়াদ আর না বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন নেওয়ার পরামর্শ দেয়। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন মসিউর রহমান খান। 

কিন্তু এসব সুপারিশ ও মতামত উপেক্ষা করে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। বলা হয়েছে, 'মুজিববর্ষ' উপলক্ষে ২১ লাখ নিরক্ষর ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক নারী ও পুরুষ সাক্ষরতা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো বিধায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

৪৫২ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে 'মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)' নামে প্রকল্পটি ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। এ প্রকল্পের আওতায় চার বিভাগের ২৫০ উপজেলায় ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর মানুষকে মৌলিক সাক্ষরতা ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্যমাত্রার মানুষকে শিক্ষার আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়। এরপর এক বছর করে একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো হয় এ প্রকল্পের। ছয় বছরে প্রকল্পের শুরু থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত এতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৮৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

বিদেশি সহায়তা ছাড়াই সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি দুই ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২৫০টির মধ্যে ১৩৪টি উপজেলার ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জনকে নিয়ে কাজ শুরু হয়। কিন্তু গত ছয় বছরে পুরো প্রকল্প শেষ হওয়া তো দূরের কথা, প্রথম ধাপের কাজও ঠিকভাবে শেষ হয়নি। এবার শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় ধাপ। ২০১৪ সালে এ প্রকল্প নেওয়া হলেও দীর্ঘদিন প্রকল্পের কোনো অর্থ খরচ হয়নি। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরে এই প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক অর্থ ব্যয় করা হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ার পর বর্তমানে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে সরকার তা অনুমোদন করেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু জানান, এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। সংসদীয় কমিটির পর্যবেক্ষণ এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন চাওয়ার যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। যদিও প্রকল্পের মেয়াদ ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে এই প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, 'সাক্ষরতা কার্যক্রমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও মাঠপর্যায়ের জরিপ থেকে সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।'

প্রকল্প পরিদর্শনে কমিটির অভিজ্ঞতা :চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এর আগেও কমিটিতে একাধিকবার এই ইস্যুতে আলোচনার পর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। যার প্রধান ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি জানান, সরেজমিন এলাকা পরিদর্শনে তার অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। সাব-কমিটির পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং ভোলা জেলার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়।

তিনি এ বিষয়ে কমিটিকে জানান, সংসদীয় সাব-কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের সাফল্য এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পঠন বা রিডিং সক্ষমতা আছে কিনা তা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে।

পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, সোনারগাঁ উপজেলার তিনটি শিখন কেন্দ্রে কোনো পুরুষ শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রে উপস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের বাধ্যবাধকতা মানা হয়নি। শিক্ষার্থীরা সাব-কমিটির সামনে নিজের নামের বানান উচ্চারণ করে লিখতে পারলেও খবরের কাগজ পড়ার মতো দক্ষতা দেখাতে পারেননি। তিনি জানান, এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি ভাতা এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্রে লিখন এবং পঠন যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। যোগ্যতা না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সুবিধাভোগীদের ভাতাবঞ্চিত করার বিধান করলে নিরক্ষর জনগোষ্ঠী সাক্ষরতা অর্জনে আগ্রহী হবে।

কমিটি সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম বলেন, সরেজমিন প্রকল্প পরিদর্শনে দেখা গেছে, শিখনকেন্দ্রে প্রকল্পের কোনো শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থীদের কাছে নেই। অধিকাংশ শিক্ষার্থী সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ট্রেডের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সংসদীয় কমিটির পর্যবেক্ষণ :প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই প্রকল্প নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও কোনো ত্রুটি দূর করা যায়নি। কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এই প্রকল্প সম্পর্কে তার পর্যবেক্ষণে বলেন, 'এনজিওগুলোর মাধ্যমে শুধু সাক্ষর শেখানোর জন্য এ কার্যক্রম চলতে পারে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যেতে পারে।'

কমিটির সদস্য আলী আজম তার পর্যবেক্ষণে বলেন, প্রথম পর্বে এই প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করা যায়নি। ভবিষ্যতে সঠিক তথ্য পর্যালোচনা করে বাস্তবতার নিরিখে প্রকল্প নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্নিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু তার পর্যবেক্ষণে বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবতার নিরিখে প্রণয়ন করা হয়নি। ছয় মাসের মধ্যে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারী ও পুরুষদের পঠনদক্ষতা ও মৌলিক সাক্ষরতা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

আইএমইডির পর্যবেক্ষণ :২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আগেই আইএমইডি তাদের পর্যবেক্ষণে জানায়, 'সাক্ষরতা কার্যক্রমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও মাঠপর্যায়ের জরিপ থেকে সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।'

আইএমইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, এ প্রকল্পের ৩৬ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় বা মাদ্রাসায় শিখন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলেও অনেক শিখন কেন্দ্রের জন্য নির্দিষ্ট ও স্থায়ী অবকাঠামো বা জায়গা নেই। ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শিখন কেন্দ্র স্থানীয় লোকের বাসস্থান বা খোলা জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য উপকরণ, যেমন- মাদুর, ব্ল্যাকবোর্ড, খাতা, কলম ইত্যাদি পর্যাপ্ত নয়। যদিও এসবের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ ছিল। কিন্তু তা খরচ করেনি বা করতে পারেনি প্রকল্প-সংশ্নিষ্টরা। শিক্ষকরা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) উল্লিখিত তাদের স্বল্প বেতন ও বেতন পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে অসন্তুষ্ট, যা শিক্ষকদের মধ্যে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ায় অনিচ্ছা তৈরি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটের সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হয় না। এতে প্রকল্প কার্যক্রমের পরিবীক্ষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। প্রকল্পের তথ্য বিশ্নেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় পুরুষ শিক্ষার্থীরা শিখন কেন্দ্রে আসতে চান না।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ব্যাখ্যা :প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এনজিওগুলোর সহযোগিতায় করা হলেও এটি নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য জেলা ও উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কমিটি, ইউনিয়ন সাক্ষরতা কমিটি কাজ করছে। এ ছাড়া উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উপজেলা পর্যায়ে এক হাজার ৪৭৩টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সচিব কমিটির অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে অফিস স্থানান্তর হলে ভবিষ্যতে এনজিওর সম্পৃক্ততা কমানো সম্ভব হবে।

ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ের বাস্তবায়ন অগ্রগতি দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রকল্পভুক্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতামত চাওয়া হয়। ৫৬ জেলার ১১১টি উপজেলা থেকে চারজন এমপি ও ৫২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মেয়র, ৬৩১ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ৮২৬ জন ইউপি সদস্য এবং এক হাজার ২৫ জন শিক্ষাবিদ ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছ থেকে দুই হাজার ৫৩৮ জনের প্রত্যয়নপত্র সংবলিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জন করেছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বলছে, ভবিষ্যতে সাক্ষরতা কর্মসূচির শিক্ষার্থীদের ধারণক্ষমতা উপযোগী করে ছয় মাসের পরিবর্তে গ্রহণযোগ্য সময়কাল নির্ধারণ করা যেতে পারে। সরকারের বিভিন্ন ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে লেখা ও পাঠ করার যোগ্যতা না থাকলে সুবিধাভোগীদের ভাতাবঞ্চিত করার বিধান যুক্ত করা যেতে পারে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি :দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০ জেলার ১১৪টি উপজেলায় ২১ লাখ নিরক্ষর শিক্ষার্থীকে সাক্ষরতা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যায়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তুতিমূলক কাজে এখন পর্যন্ত ৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চে শিখন কেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। ১১৪টি এনজিওর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। ১১৪ উপজেলায় বেইজলাইন সার্ভের মাধ্যমে ২২ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরদের চিহ্নিত করে তালিকা করা হয়েছে। ৩৫ হাজার শিখন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষক-সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষ করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণের ব্যয়ের অর্থ দেওয়া হয়েছে। এনজিওগুলোকে প্রথম অগ্রিম কিস্তির অর্থ দেওয়া হয়েছে।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0076930522918701