বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে বিভিন্নভাবে জড়িত অর্ধশত শিক্ষার্থীর নাম প্রাতিষ্ঠানিক তদন্তে উঠে এসেছে।
বুয়েটের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য ওঠায় জড়িতদের বিরুদ্ধে একাডেমিক শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার পর বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে আগামী মাসের মাঝামাঝি বুয়েট ক্যাম্পাস স্বাভাবিক হতে পারে। বুয়েট প্রশাসন, আবরার হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী শিক্ষক ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুয়েটের গঠিত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেখানে অর্ধশত শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। চার্জশিটভুক্ত প্রত্যেকের নামও রয়েছে।
চার্জশিটভুক্তদের বাদে অন্যদের বক্তব্য দেয়ার জন্য চিঠি দিয়ে ডাকবে বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। আজ একটি অংশকে ডাকা হচ্ছে। আগামী ২৪ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ডাক পড়বে আরেকটি অংশের। এভাবে কয়েক দফায় অভিযুক্তদের ডাকা হবে। প্রতিবার সাতজনকে ডাকা হবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে অভিযুক্তদের শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের কথা আমরা শুনব। এরপর অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, র্যাগিংসহ সামগ্রিক বিষয়ে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পাইনি। শিগগিরই হয়তো পেয়ে যাব। তিনি বলেন, আশা করছি খুব শিগগিরই একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে। সোমবার আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহ সময় নেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে তিনটি দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হল- মামলার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, আহসানউল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলে র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি, সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি এবং র্যাগিংয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভাগ করে শাস্তির নীতিমালা প্রণয়ন করা।
সোমবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বুয়েটের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের শিক্ষার্থী শীর্ষ সংশপ্তক বলেন, বুয়েট প্রশাসনের দেয়া প্রস্তাব আমরা মেনে নিয়েছি। দুই সপ্তাহের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ করলে আমরা আসন্ন টার্ম পরীক্ষা দেব।