বয়েটের ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসমুক্ত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিক্ষিপ্তভাবে ব্যতিক্রমী মানববন্ধন করেছেন যশোরের সাধারণ মানুষ। এ মানবন্ধনে ছিলনা কোন আয়োজকের নাম। দুপুর সাড়ে ১২ টায় পরিবার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান যশোরবাসীরা।
সাড়ে ৮ বছরের সাফাউদ্দিন চৌধুরী ও ৪ বছরের আয়াত দুই ভাই। এদের নিয়ে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন যশোর আর এন রোডের বাসিন্দা নাসিমা আক্তার। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আজ আবরারকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। কাল আমার সন্তানও বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাবে। তখন তাদের যেন এমন পরিণতির শিকার না হতে হয় সেই বাস্তবমুখী ভবিষ্যতের চিন্তা করে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছি।’
মানববন্ধনে শিশু সন্তান সৈয়দ আসলিম ওয়ারেশকে নিয়ে অংশ নেন ব্যবসায়ী সৈয়দ আব্দুস ওয়ারেশ। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘মেধাবী ছাত্র আবরারের অকাল মৃত্যুতে ব্যথিত হয়ে তার প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। কারণ আমারও সন্তান আছে।’
মানববন্ধনে অংশ নেয়া রাবিয়া সুলতানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এখন শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। আমাদের আজকের এই আন্দোলনে হয়তো একদিনে কাজ হবেনা। তবে ভবিষ্যতে যেন আমাদের সন্তানদের নিরাপদ রাখতে পারি তার জন্যে এই আন্দোলন।’
মানবন্ধনে অংশ নেয়া শিশু সাফাউদ্দিন পড়ে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে। শিশু সাফা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলে, ‘আমি আমার মাকে আসতে বলেছি। কারণ আমাদের সাথেও তো এমন হতে পারে।’
গত দুইদিন ফেসবুকে সাধারণ মানুষদের মাঝে এ মানববন্ধনের প্রচারণা চালানো হয়। এ প্রচারণায় শহরের দড়াটানা, গাড়িখানাসহ বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্তভাবে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে আবরার হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আবরার হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।