নির্মম নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারকে আপস-মীমাংসার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনে সাত্তার নামে এক ব্যক্তি আসামিদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। বরকত উল্লাহ বলেন, কয়েকদিন আগে অপরিচিত একটা নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে।
জয়পুরহাট থেকে নিজেকে সাত্তার পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, আপনার ছেলে তো চলে গেছে, আর তো ফিরে আসবে না। কিন্তু এতগুলো ছেলের জীবনও তো নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেছেন, হত্যার বদলে হত্যা কিন্তু মাফ করে দেয়া সর্বোত্তম। আসামিদের মধ্যে অনেকের বাড়ির লোকই অসুস্থ। আমরা কয়েকজন আসামিদের পক্ষ থেকে আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। একথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বরকত উল্লাহ জবাব দেন, এরপর ভুলেও আর যেন কল না দেয়া হয় বলেই ফোন কেটে দেন।
আসামিদের পক্ষ থেকে আপস প্রস্তাব দেয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবরার ফাহাদেও ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। তিনি লিখেছেন, লজ্জাহীনতা আর দুঃসাহস, দুইটারই লিমিট থাকা উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ই অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।