‘স্কুলে না গ্যালে পরীক্ষায় পাস করমু ক্যামনে। আমি স্কুলে যামু’ এমন আকুতি পটুয়াখালীর বাউফল পৌর সদরের বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী দুলিয়ার। পুরো নাম সাবেকুন নাহার দুলিয়া। পৌর সদরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর বাবা দুলাল হাওলাদারের মেয়ে সে। ক্যান্সারে একটি পা হারিয়েছে সে। কিন্তু হারায়নি স্কুলে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে। শ্রেণিকে কক্ষে সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করতে গিয়ে বেঞ্চির কানায় লেগে একটা পা কেটে যায় তার। পরে ওই কাটা ঘাই রূপ নেয় ক্ষতে। আর ক্ষতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার পায়ে ধরা পড়ে ক্যান্সার। চিকিৎসকরা শেষ পর্যন্ত পা-ই কেটে ফেলা হয় তার ।
চিকিৎসার ব্যয় আর পরিবারের অভাব অনটনে বছর খানেক আগে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। এভাবেই থেমে যায় দুলিয়ার স্বপ্নের পথ চলা।
ডাক্তার জানান, শরীরের অন্য কোন স্থানে ক্যান্সারের জীবানু ছড়িয়ে পড়তে না পারে এ কারণে অন্তত ১৩ বার (প্রতিটি ৩০ হাজার টাকা ব্যায়ে) ক্যামো থেরাপি দিতে হবে তাকে। দিতে হবে রেডিও থেরাপিও। চলাচলের জন্য করতে হবে কৃত্রিম পা সংযোজন। সব মিলে দুলিয়ার চিকিৎসায় আরো ৫ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। ধার-দেনায় এ পর্যন্ত চললেও চিকিৎসার এই বিশাল ব্যায়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে তাদের। মেয়ের সুস্থতার চিন্তায় অন্ধকার দেখছেন বাবা দুলাল হাওলাদার।
চোখের পানি ফেলে উন্নত চিকিৎসার আকুতি জানিয়ে দুলিয়া বলেন,‘স্কুলে না গ্যালে পরীক্ষায় পাস করমু ক্যামনে। আমি স্কুলে যামু।’ দুলিয়ার স্কুলের শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘জেডিসিতে জিপিএ- ৪.৮০ পায় দুলিয়া। মেয়ের চিকিৎসায় লোক-লজ্জায় সমাজের কারো কাছে হাত পাততেও পারেন না দুলিয়ার বাবা-মা। সাবেকুন নাহার দুলিয়ার মতো মেধাবি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরা উচিত। দুলিয়ার মতো অসহায় মেধাবি শিক্ষার্থীদের
চিকিৎসা সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত সমাজের বিত্তবানদের।’প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে মেয়ে দুলিয়ার চিকিৎসার সহযোগিতা
কামনা করেছেন দুলাল হাওলাদার।
সাহায্য পাঠানো যাবে সোনালী ব্যাংক বাউফল শাখা, সঞ্চয়ি হিসাব নম্বর- রাহিমা বেগম, ৪৩০৬১০০৮৭৭৫৭
মোবাইল : দুলাল হাওলাদার ০১৭২৮৬৩২১৮৮, মোশারফ হোসেন ০১৭৮৮৪২০৬২৬