শিক্ষক নিয়োগ: আবারও শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগ: আবারও শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বেশকিছু প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই ফের শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি শূন্যপদের তথ্য এসেছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৩য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের প্রস্তুতি নিতে কারিগরি সহায়তা দানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের কর্মকর্তাদের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনটিআরসিএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা। 

এনটিআরসিএর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কোন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করার পরেও তার এমপিও হয়না শূন্যপদের ভুল তথ্যের কারণে। যা প্রার্থীদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। ২য় চক্রের শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া কয়েকশ শিক্ষক এ জটিলতার কারণে এখনও এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি। পরবর্তী নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়ায় যাতে এ জটিলতার সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হবে। 

সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। ই রিকুইজিশন শেষ হওয়ার পর শূন্যপদের তথ্য ছিল ৫৯ হাজারের বেশি। কিন্তু যাচাইয়ে সে সংখ্যা কমেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৫৭ হাজরের বেশি শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও শেষ মুহুর্তে ১৩ জন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তথ্য সংশোধনের সময় বাড়োনোর মৌখিক আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে সময় বাড়ানো হয়নি। 

শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশ করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শূন্যপদের তথ্যে এখনো কিছু ভুল আছে বলে আমরা ধারণা করছি। বেশ কয়েকজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তথ্য সংশোধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তখন সে সময় বাড়ানো হয়নি। এনটিআরসিএ ক্লিন নিয়োগ দিতে চায়। শূন্যপদের তথ্যে কোন ভুল পুরোপুরি সংশোধনের আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন নিতে চায়না এনটিআরসিএ। শূন্যপদের ভুল তথ্য সংশোধনের পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করা হবে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগ দিতে কার্যক্রম শুরু করেছে এনটিআরসিএ। 

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034708976745605